শতকোটিতে এমন গোল ডিম একটিই পাওয়া যায়
Published: 21st, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ ডিমের দাম অনেকটা বেড়ে যাওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে হইচই চলেছে। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের দেশগুলোতেও ডিমের দাম বেড়ে গেছে। তাই বলে একটি ডিমের দাম ৪২০ পাউন্ড বা ৫৫০ মার্কিন ডলারের বেশি!
এই ডিম মোটেও সাধারণ কোনো ডিম নয়, একেবারে গোলাকৃতির ডিম। গোলাকৃতির ডিম খুবই বিরল, প্রতি ১০০ কোটিতে একটি ডিম এমন হতে পারে।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে এমন একটি ডিম নিলামে ৪২০ পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম ৬৬ হাজার টাকার বেশি।
ফেনটন ফার্মে গত জানুয়ারিতে ওই ডিম খুঁজে পাওয়া যায়। পরে ডিমটি নিলামে তোলা হয়। নিলাম থেকে পাওয়া অর্থ দাতব্যকাজে ব্যয় হবে।
ফেনটন ফার্মের ডিম নিয়ে কাজ করেন অ্যালিসন গ্রিন। তিন বছরের পেশাজীবনে তিনি সপ্তাহে গড়ে ৩০ হাজার ডিম বাছাই করেন। কিন্তু এই জানুয়ারির আগে তিনি কখনো সম্পূর্ণ গোলাকৃতির কোনো ডিম দেখেননি।
ফেনটন ফার্মে পাওয়া ডিমটি যেন নষ্ট হয়ে না যায়, তাই নিলামের আগপর্যন্ত সেটিকে লবণের ভেতর সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। নিলামে
ডিমটি যে দামে বিক্রি হয়েছে, তাতে বেশ অবাক হয়েছেন গ্রিন।
গ্রিন আশা করেছিলেন, ডিমটি হয়তো ১০ পাউন্ডের বেশি দামে বিক্রি হবে। যদি নিলামে ডিমটির দাম এর চেয়ে কম ওঠে, তবে তিনি নিজেই এটি কিনে নেওয়ার কথাও ভেবে রেখেছিলেন। কিন্তু নিলামে তাঁর সব প্রত্যাশা এবং শঙ্কা একই সঙ্গে ভেসে যায়। গ্রিনকে অবাক করে দিয়ে ডিমটি ৪২০ পাউন্ডে বিক্রি হয়।
নিলাম থেকে পাওয়া অর্থ ডেভন রেপ ক্রাইসিস অর্গানাইজেশনে দান করা হবে। সংগঠনটি যৌন নিপীড়ন এবং নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের সহায়তায় কাজ করে থাকে।
কয়েক বছরে আরও কয়েকটি গোলাকৃতির ডিম পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার এক নারী দোকান থেকে কিনে আনা ডিমের ভেতর একটি পুরোপুরি গোলাকৃতির ডিম খুঁজে পান।
এর আগের বছর ২০২২ সালে ইংল্যান্ডে একটি পরিবারের পালা মুরগি একটি গোল ডিম পাড়ে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।
আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।
রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।
কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?
কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।
রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।
রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।
এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।
রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।