অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু
Published: 21st, March 2025 GMT
মন্ত্রিসভার ভোটের মাধ্যমে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের প্রধানকে শুক্রবার বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর তার ওপর আর বিশ্বাস নেই বলে মন্তব্যের কয়েকদিন পর রোনেন বারকে বরখাস্ত করা হলো।
আল-জাজিরা অনলাইন জানিয়েছে, এটি ইসরায়েলে নজিরবিহীন পদক্ষেপ। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো সরকার তার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবার প্রধানকে বরখাস্ত করার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
নেতানিয়াহু সরকারের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সরকার সর্বসম্মতিক্রমে আইএসএ পরিচালক রোনেন বারের পদের মেয়াদ শেষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার উত্তরসূরী নিযুক্ত হওয়ার পর অথবা সর্বোচ্চ ১০ এপ্রিলের মধ্যে রোনেন তার পদ ছেড়ে দেবেন।
রবিবার নেতানিয়াহু ‘চলমান আস্থার অভাব’ উল্লেখ করে রোনেন বারকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৩ সালে রোনেন সংস্থায় যোগদান করেছিলেন।
রোনেন বার অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছু এড়াতে চাইছেন। নেতানিয়াহু ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যর্থতার অভ্যন্তরীণ তদন্ত এড়াতে চাইছেন এবং তিনি তার নিজস্ব রাজনৈতিক এজেন্ডাও এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া নেতানিয়াহু চেয়েছিলেন, কোনো ধরনের চুক্তিতে পৌঁছানো ছাড়াই তিনি যেন গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনা করেন। এ কারণে প্রায় এক মাস আগে সেই আলোচনা থেকে তিনি দূরে সরে এসেছিলেন।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’