বর্তমান প্রজন্মকে বলা হয় ‘জেন জি’। এই প্রজন্ম বিশ্বে কাজের ক্ষেত্রগুলোতে প্রচলিত সংস্কৃতি ভেঙে নতুন নিয়ম চালু করেছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের একটি সমীক্ষা বলছে, ‘‘৬৩ শতাংশ জেন-জি কর্মী বিশ্বাস করেন, কয়েক দশক ধরে একই চাকরিতে থাকার চেয়ে কাজ থেকে বিরতি নেওয়া বেশি উপকারী।’’

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই ধারণা প্রতিষ্ঠা করা কঠিন। কারণ জাতীয় পর্যায়ে দেশগুলোতে আর্থিক অস্থিরতা বিরাজ করে। সাধারণত যেসব দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল সেসব দেশে এই সংস্কৃতি দ্রুত প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। পর্তুগাল ও ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ‘ফায়ার’ নামে একটা কনসেপ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে ‘ফিন্যান্সিয়াল ইনডিপেনডেন্স, রিটায়ার আর্লি’র সংক্ষিপ্ত রূপ। অর্থাৎ ‘আর্থিক স্বাধীনতা, আগেভাগে অবসর’।

এদিকে ইউরোপের দেশগুলোতে সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টি অনেক শক্তিশালী। জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো দেশে চাকরি থেকে বিরতি নিলেও বেতন ঠিকই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যায়। 

আরো পড়ুন:

মহাকাশ থেকে ফেরার পর যেসব কারণে হাঁটতে পারেননি সুনিতা ও বুচ

ঈদের আগে ত্বকের যত্নে এই তিন ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন

ইউরোস্ট্যাট অনুসারে, ‘‘৪১ শতাংশ ফরাসি কর্মী ৪০ বছর বয়স হওয়ার আগে কমপক্ষে একবারের জন্য হলেও চাকরি থেকে বিরতি নেন।’’

২০২৩ সালের এক জরিপে দেখা যায়, ‘‘৩৯ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান কর্মী চাকরিজীবনের মাঝামাঝিতে এসে একবার হলেও সাময়িক অবসর নিয়েছেন।’’

উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশেও এই সংস্কৃতি বিস্তার লাভ করছে।  বিশেষ করে যারা ফ্রিল্যান্সিং ও রিমোট চাকরি করেন তারা সাময়িক অবসরে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

সূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, দ্য গার্ডিয়ান ও ফার্স্টআপ অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ