এবারের উয়েফা ন্যাশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র যখন হয়, তখন ধারণা ছিল একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে ম্যাচে ক্রোয়শিয়া-ফ্রান্স ম্যাচে। ক্রোয়েটদের সামনে সুযোগ ছিল ২০১৮ বিশ্বকাপ ফাইনাল হারের প্রতিষোধ নেওয়ার। সেই সুযোগ শতভাগ লুফে নিয়ে ফরাসিদের বিপক্ষে দারুণ এক জয় তুলে নিল ক্রোয়শিয়া।

এই ম্যাচে ৩৯ বছরের লুকা মদ্রিচের সামনে রীতিমত মুখ থুবড়ে পড়লেন ২৬ বছর বয়সী কিলিয়ান এমবাপে। অন্যদিকে ভাগ্য সহায় হচ্ছিল না ফ্রান্স দলের। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ, ২০২৫) দিবাগত রাতে ন্যাশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ফ্রান্সকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ক্রোয়শিয়ে। ফলে সেমি ফাইনালের পথে এক পা দিয়েই রেখেছে মদ্রিচরা।

ঘরের পলজাড স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে অবশ্য বেশ চাপে ছিল ক্রোয়শিয়া। ফরাসিরা একের পর এক আক্রমণে দারুণ পরীক্ষা নিচ্ছল স্বাগতিক ডিফেন্সের। তবে জালের দেখা পাচ্চছিল না। এসবের মাঝে ম্যাচের অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় ক্রোয়েটরা। তবে স্ট্রাইকার আন্দ্রেজ ক্রামারিচ পেনাল্টি মিস করায় সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়।

আরো পড়ুন:

ইউক্রেনে এক মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফ্রান্স-যুক্তরাজ্যের

ফ্রান্সে রাশিয়ার কনস্যুলেটে ককটেল হামলা

তবে ম্যাচের ২৬ মিনিটে ইভান প্যারিসিচের অ্যাসিস্টে গোল করেন আন্টে বুদিমির। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ফ্রান্স এরপর আক্রমণ শাণিত করে। এসবের মাঝে এমবাপের শট আটকে দেন ক্রোয়েট গোলরক্ষক। ফরাসিরা ম্যাচে তো ফিরতেই পারেনি উল্টো প্রথমার্ধের শেষ দিকে প্যারিসিচ নিজে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলেন। বিরতির পর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা অব্যাহত রাখে দিদিয়ার দেশমের দল। তবে লাভ হয়নি।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ক ল য় ন এমব প প ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ