বগুড়ার শেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় পথচারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় উপজেলার শেরপুর-কাজীপুর আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার গাড়িদহ রনবীরবালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ (৪৮) এবং হোসনাবাদ গ্রামের হানিফ উদ্দিন (৩৬)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২১ জন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত ব্যক্তিরা জানান, ঝাজর গ্রামের একদল শ্রমিক ভটভটিতে (তিন চাকার যান) করে শেরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে একটি ট্রাক ভটভটিতে ধাক্কা দেয়। এতে ভটভটিতে থাকা শ্রমিকেরা সড়কের পাশে ছিটকে পড়েন। এতে এক শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যান। এর আগে এক পথচারীকে চাপা দেয় ট্রাকটি। পথচারী হানিফ উদ্দিনও ঘটনাস্থলে মারা যান।

খবর পেয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের সহায়তায় আহত ব্যক্তিদের শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ট্রাকটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। দুর্ঘটনার পরে ট্রাক থেকে চালক পালিয়ে গেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পথচ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ