নাঈমের উড়ন্ত সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংকের সহজ জয়
Published: 21st, March 2025 GMT
অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভেরিতে সমস্যা ছিল তার। রান পেলেও স্ট্রাইক রেট ছিল না মানানসই। সব ঝামেলা যেন জাদুর মতো ঠিক হয়ে গিয়েছে নাঈম শেখের। বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। সেই ধারাবাহিকতা টেনে এনেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও। সম্ভবত ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
চলতি ডিপিএলে রানের বন্যা বসিয়ে দেওয়া নাঈম, শুক্রবারও (২১ মার্চ) পেয়েছেন শতকের দেখা। তার ঝড়ো গতির সেঞ্চুরির সুবাদে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে হেসেখেলে ৯ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে, টসে জিতে প্রথম ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর। ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪৮.
আরো পড়ুন:
কষ্টের জয়ে শীর্ষেই রইল আবাহনী
বৃথা গেল সোহানের সেঞ্চুরি, মোহামেডানের আরও একটি জয়
ছোট রান তাড়া করতে নেম শুরু হয় নাঈমের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়। ফলে কখনোই মনে হয়নি ম্যাচে আছে শাইনপুকুর। ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয় ৩৬ বলে ছুঁয়ে ফেলেন ফিফটি। আরেক ওপেনার সাব্বির হোসেনও ছিলেন দারুণ সাবলীল। ৪৮ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি।
অন্যপ্রান্তে নাঈম ছিলেন অবিচল। ফিফটি ছুঁয়ে প্রতাপের সঙ্গে এদিয়ে যেতে থাকেন শতকের দিকে। ৬৩ বলে তিন অংকের দেখা পাওয়া নাঈম শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ৬৪ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১টি চার ও ৫টি ছক্কায়। অন্যদিকে ১১ বলে ৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন শাহাদাত হোসেন দিপু। এই দুইজনের ৪২ রানের জুটিতে, মাত্র ২০.১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে প্রাইম ব্যাংক।
চলমান ডিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। সাত ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে এর মাঝেই ৪৫৯ রান করে ফেলেছেন নাঈম। স্ট্রাইক রেট ১২০.৭৯।
ঢাকা/নাভিদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।