ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ বন্দর থানা পশ্চিম এর যুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টায় বন্দর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মুফতি আরিফ বিন মেহের উদ্দিন। 

প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সহ-সভাপতি মাওলানা মোঃ মোবারক হোসেন। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ বন্দর থানা পশ্চিম শাখার সভাপতি মোঃ রাকিব হোসেন ইসমাঈলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বন্দর থানা দক্ষিণের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আবুল হাসেম,বন্দর উত্তর শাখার সভাপতি ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন,বন্দর থানা পূর্ব শাখার সভাপতি হাজী মোঃ নজরুল ইসলাম মাষ্টার,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নেতা হাজী মোঃ শাহ আলী,মুফতী সালমান রফিকী,মোঃ মাজহারুল ইসলাম,মোঃ আবু তাহের ও মোঃ মেহেদী হাসান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম,মোঃ জুয়েল হোসেন খাঁন,মোঃ শফিকুল ইসলাম,মাওলানা মোঃ রেজাউল করিম, মুহাম্মদ নাইমুল ইসলাম, শাকিল আহমেদ,আবির হোসেন আবির,হাসান মাহমুদ খান, মুহাঃ হাসান, মুহাম্মদ আবুল কালাম, আব্দুর রহমান ভাষানী, শফিকুল ইসলাম,মিজানুর রহমান, সজিন লেসন, রবিন, বুলবুল আহমেদ কামাল হোসেন প্রমুখ।

পরিশেষে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ বন্দর থানা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সভাপতি মোঃ রাকিব হোসেন ইসমাইল, সহ-সভাপতি মাওলানা মোঃ রেজাউল করিম,সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোঃ শাকিল আহমেদ নির্বাচিত হন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম ম

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ