ভাগ্যগুণে তৃতীয় সুযোগটা পেয়েছিলেন হাসান নওয়াজ। নইলে প্রথম দুই ম্যাচে জোড়া শূন্য পাওয়ার পর এ সিরিজে আর তাঁর মাঠে নামার কথা ছিল না। তবে পাওয়া সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছেন নওয়াজ। ৪৪ বলে ১০০ করে টি২০ ফরম্যাটে হয়েছেন পাকিস্তানের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান। ভেঙে দিয়েছেন বাবর আজমের ৪৯ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড।
সে সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এনে দিয়েছেন কাঙ্ক্ষিত জয়। তাঁর অপরাজিত সেঞ্চুরিতে কিউইদের ২০৪ রান ৪ ওভার হাতে রেখে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে টপকে গেছে পাকিস্তান।
প্রথম ম্যাচে ২ বলে শূন্য ও পরের ম্যাচে ৩ বলে শূন্য রানে আউট হওয়া নওয়াজ গতকাল নেমেছিলেন একটি রানের আশায়। সেই ১ রান তো নিয়েছেনই, সঙ্গে করেছেন রেকর্ড সেঞ্চুরিও। ৯ উইকেটের জয়ের পর হাসিমুখে সে কথাই বলেছেন নওয়াজ, ‘একটা ভাবনা আমার মাথায় ছিল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অন্তত ১ রান করতে হবে। সেটা পাওয়ার পর আমি স্বস্তি অনুভব করেছি এবং চাপ কেটে গেছে।’
আর তৃতীয় সুযোগের জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন অধিনায়ক আগা সালমান ও সহ-অধিনায়ক সাদাব খানকে, ‘প্রথম দুই ম্যাচে যেভাবে আউট হয়েছি, তাতে বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছেন। তারা বলেছেন, আমি ম্যাচ উইনার, এটাই আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।’
ইডেন পার্কে গতকাল তৃতীয় টি২০তে মার্ক চ্যাপম্যানের ৪৪ বলে ৯৪ রানের ইনিংসে ২০৪ রান তোলে কিউইরা। জবাব দিতে নেমে ৫.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ক স ত ন ক র ক ট দল ন নওয় জ
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি