আইপিএলের ১৮তম আসর শুরু হচ্ছে ২২ মার্চ, আরও একবার বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগের উন্মাদনায় মাতবে ক্রিকেট বিশ্ব। ১০ দলের এই আসরে এবার শিরোপা জিতবে কারা? টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দলগুলোর শক্তি-দুর্বলতা বিশ্লেষণ করে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা...চেন্নাই সুপার কিংস
অধিনায়ক: রুতুরাজ গায়কোয়াড়
কোচ: স্টিভেন ফ্লেমিং
শিরোপা: ৫টি(২০১০, ২০১১, ২০১৮, ২০২১, ২০২৩)
স্কোয়াড: ২৫ জন
ভারতীয়: ১৮ জন
বিদেশি: ৭ জন
রিটেইনড (ধরে রাখা খেলোয়াড়): রবীন্দ্র জাদেজা, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, মাতিশা পাতিরানা, শিবম দুবে, এম এস ধোনি
নিলামে কেনা: নূর আহমেদ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ডেভন কনওয়ে, খলিল আহমেদ, রাচিন রবীন্দ্র, রাহুল ত্রিপাঠি, অংশুল কম্বোজ, স্যাম কারেন, গুরজপনীত সিং, নাথান এলিস, দীপক হুদা, জেমি ওভারটন, বিজয় শঙ্কর, বংশ বেদি, শ্রেয়াস গোপাল, সি আন্দ্রে সিদ্ধার্থ, রামকৃষ্ণ ঘোষ, শেখ রশিদ, মুকেশ চৌধুরী, কমলেশ নাগরকোটি।
শক্তি● চেন্নাই সুপার কিংস জটিল হিসাব–নিকাশে বিশ্বাসী নয়। বছরের পর বছর ধরে তারা অনেকটা একই দল নিয়ে খেলে। এবারও তাদের দলে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। রবীন্দ্র জাদেজা, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, মাতিশা পাতিরানা, শিবম দুবে, এম এস ধোনি—এই মূল ৫ ক্রিকেটার এবারও আছেন চেন্নাইয়ে।
● রবিচন্দ্রন অশ্বিন হতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ১০ বছর পর চেন্নাইতে ফিরেছেন এই স্পিনার। উইকেটের পেছনে থাকা ধোনির সঙ্গে অশ্বিনের কম্বিনেশন খুব ভালো। মাথার চালে দুজনে মিলে চেন্নাইকে এগিয়ে দিতে পারেন।
মিডল অর্ডারে শিবম দুবেকে খেলতে হবে ঝোড়ো ইনিংস.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’