ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে লেবানন। গত ডিসেম্বরের পর এই প্রথম বৈরুত থেকে ইসরায়েলের মেটুলায় অন্তত পাঁচটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। 

শনিবার (২২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। 

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২১ মার্চ) লেবাননের দিক থেকে উত্তর ইসরায়েলের সীমান্তে অন্তত পাঁচটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। এর মধ্যে তিনটি রকেট সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে এবং বাকি দুটি লেবাননের ভেতরেই পড়ে গেছে।

আরো পড়ুন:

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হলেন আইসিজের প্রেসিডেন্ট নাওয়াফ সালাম

চুক্তি লঙ্ঘন করে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১১

তবে রকেট হামলার জন্য হিজবুল্লাহ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো দায় স্বীকার করেনি।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মেটুলায় রকেট হামলার পর আইডিএফ দক্ষিণ লেবাননের বিরুদ্ধে কামানের গোলাবর্ষণ করে জবাব দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা লেবানন থেকে গ্যালিলি সম্প্রদায়ের ওপর গুলি চালাতে দিতে পারি না। লেবানন সরকার তার ভূখণ্ড থেকে হামলার জন্য দায়ী। আমি সেনাবাহিনীকে সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাতে নির্দেশ দিয়েছি।’

আইডিএফ আরো জানিয়েছে, একই দিনে ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। তবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেটি আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবর বলছে, এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।

হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, তাদের গোষ্ঠী তেল আবিবের কাছে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আগের মতোই সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

 

এই ক্রমবর্ধমান সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লেবানন ও ইয়েমেন থেকে আসা হামলা ইসরায়েল ও তার বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় সংঘাতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ব নন ইসর য় ল ইসর য় ল র ল ব নন র

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।

গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।

আরো পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।

অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।

ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”

হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ