গাজীপুরে বাসে নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা, টাকা-স্বর্ণালংকার ছিনতাই
Published: 22nd, March 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় একটি চলন্ত বাসে এক নারীকে (১৮) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই নারীর কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেন বাসের চালক ও সহযোগীরা। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে কোনাবাড়ী থানায় ভুক্তভোগী নারী নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার দুজন হলেন বাসের কন্ডাক্টর শাহেদ আলী (১৯) ও চালকের সহকারী কামরুল ইসলাম (১৭)।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী গত বৃহস্পতিবার আনুমানিক সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাজধানীর উত্তরা হাউস বিল্ডিং থেকে বাসে উঠে কোনাবাড়ীর উদ্দেশে রওনা হন। তিনি ক্লান্ত থাকায় বাসের সিটে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৯টার দিকে বাসটি একটি নির্জন স্থানে দাঁড়ায়। পরে বাসের সহযোগী, চালকসহ অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি মিলে ওই নারীকে ডেকে উঠান। তিনি জেগে দেখেন, বাসে আর কোনো যাত্রী নেই। এ সময় ওই নারীকে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে আপত্তিকর আচরণ ও হয়রানি করে। পরে তিনি চিৎকার করার চেষ্টা করলে তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। পরে তাঁর সঙ্গে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা, একটি মোবাইল সেট, গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, নাক ফুল ও কানের দুল নিয়ে ওই নারীকে বাস থেকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।
ভুক্তভোগী নারীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই নারী নিজের বাসায় গিয়ে স্বজনদের বিষয়টি জানালে রাতেই কোনাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ করেন। পরে নারী যাত্রী ও স্বজনেরা কালিয়াকৈর উপজেলায় গিয়ে বাসটি শনাক্ত করেন। বাসের চালকের সহযোগী ও কন্ডাক্টরকে শনাক্ত করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওই ন র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’