নতুন এআই অডিও মডেল তৈরি করেছে ওপেনএআই, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
Published: 22nd, March 2025 GMT
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর ভয়েস এজেন্টের কার্যকারিতা উন্নত করতে নতুন অডিও মডেল তৈরি করেছে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। প্রাথমিকভাবে ডেভেলপারদের জন্য উন্মুক্ত করা মডেলটি কাজে লাগিয়ে এআই ভয়েস এজেন্টগুলোয় বাস্তবসম্মত ও স্বতঃস্ফূর্ত কথোপকথনের সুযোগ পাওয়া যাবে।
প্রযুক্তি–বিশ্লেষকদের মতে, মুখের কথা যোগাযোগের সবচেয়ে স্বাভাবিক মাধ্যম হলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিতে এটি এখনো যথাযথভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। তবে ওপেনএআইয়ের নতুন উদ্ভাবন এই চিত্র বদলে দিতে পারে। মডেলটিতে থাকা উন্নত স্পিচ-টু-টেক্সট ও টেক্সট-টু-স্পিচ প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট আরও স্বতঃস্ফূর্ত ও কার্যকর হবে। গ্রাহকসেবা, ভাষাশিক্ষা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সহায়ক প্রযুক্তি হিসেবে মডেলটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।
আরও পড়ুনলেখা থেকে ভিডিও তৈরির এআই টুল নিয়ে বিপাকে ওপেনএআই, কারণ কী২৯ নভেম্বর ২০২৪ওপেনএআইয়ের নতুন অডিও মডেলটিতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে উন্নত স্পিচ-টু-টেক্সট, টেক্সট-টু-স্পিচ মডেলসহ হালানাগাদ এজেন্টস এসডিকে অন্যতম। নতুন স্পিচ-টু-টেক্সট সুবিধা আগের হুইস্পার সংস্করণের তুলনায় আরও নির্ভুল ও দ্রুত কাজ করতে পারে। ফলে বর্তমানের তুলনায় নির্ভুলভাবে মুখের কথাকে লেখায় রূপান্তর করা যাবে। এ ছাড়া এজেন্টস এসডিকের নতুন হালনাগাদের মাধ্যমে ডেভেলপাররা সহজেই লেখাভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহকারীকে কণ্ঠস্বরভিত্তিক ইন্টারঅ্যাকশন সিস্টেমে রূপান্তর করতে পারবেন।
ওপেনএআই দাবি করেছে, নতুন মডেলটি আগের হুইস্পার সংস্করণের তুলনায় আরও নির্ভুল এবং সবচেয়ে কম বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে। এর ফলে গ্রাহকসেবা, ভাষাশিক্ষা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যবহারকারীদের জন্য সহায়ক প্রযুক্তি হিসেবে মডেলটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি