শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পে ফিরছেন নারী দলের বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলার। আগামী ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প, যেখানে যোগ দেবেন সাবিনা খাতুন, মারিয়া মান্দা, মাসুরা পারভীনসহ সবাই। পরদিন ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক অনুশীলন।  

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সূত্রে জানা গেছে, ৫৫ নারী ফুটবলারকে ইতোমধ্যে ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার জন্য ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলারের সবাই।  

বাফুফে সদস্য ও নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, '৬ এপ্রিল ক্যাম্প শুরু হচ্ছে। কোচ পিটার বাটলারও ওই দিনই দেশে ফিরবেন। ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে অনূর্ধ্ব-২০ ও সিনিয়র দলের অনুশীলন।'

এই ক্যাম্প সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে জুনে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও জুলাইয়ের এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের জন্য।  

উল্লেখ্য, জাতীয় দলের আরব আমিরাত সফরের আগেই সিনিয়র ফুটবলাররা বাফুফেকে বিদ্রোহের অবসানের বার্তা দিয়েছিলেন। এবার সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মাঠে ফিরছেন তারা। ঈদের পর মাসুরা পারভীন ও রূপনা চাকমা ভুটানের ক্লাব ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের হয়ে খেলতে যাবেন বলেও জানা গেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল র ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ