সিরাজগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫২ পরিবারের অন্ধ, প্রতিবন্ধী, বিধবা ও অসহায় মানুষের মাঝে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার রোজা ও ঈদসামগ্রী তুলে দেন স্থানীয় তরুণ সংগঠক ও উদ্যোক্তা মামুন বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘কারও অভাব দেখলে আমি স্বাভাবিক থাকতে পারি না। কারও কষ্ট আমাকে ব্যথিত করে তোলে। আমার অনেক টাকা নেই। তবে ফেসবুক আছে। কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে আমার কাছে এলে আমি তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে ফেসবুকে তা তুলে ধরি। এরপর দেশ-বিদেশের মানুষ আমাকে বিশ্বাস করে সেই মানুষটির পাশে দাঁড়ায়। এই এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে কতো মানুষের উপকার করেছি তার ইয়ত্তা নেই! এই রমজান এবং ঈদকে ঘিরে আমার পরিচিত কয়েকজন ফেসবুক ভাইবোন টাকা পাঠিয়েছিলেন। সেই টাকা দিয়ে ৫২ অসচ্ছল পরিবারে পুরো রমজান মাসের খাবার এবং ঈদসামগ্রী বিতরণ করি। এর জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর,
 উল্লাপাড়া, বেলকুচি ও এনায়েতপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চল বেছে নেওয়া হয়।’
মামুন বিশ্বাসের জন্ম আর বেড়ে ওঠা প্রত্যন্ত গ্রামে, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের আগনুকালী গ্রামে। পড়াশোনা করেছেন সিরাজগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। বাবা স্কুলশিক্ষক আর বড় ভাই ব্যবসা করেন। ভাইয়ের সঙ্গে ব্যবসা দেখাশোনার পাশাপাশি অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন এই যুবক। মূলত আর্থিকভাবে অসচ্ছল বিভিন্ন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মামুন বিশ্বাসের কাজ। মামুন যে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান সেই ফেসবুক আইডিতে আছে এক লাখের মতো ফলোয়ার। 
তাদের কাছে সহায়তা চেয়ে পোস্ট দিলেই মুহূর্তেই চলে আসে কাঙ্ক্ষিত অর্থ। তখনই মামুন আরেকটি পোস্ট দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দেন, টাকার ব্যবস্থা হয়েছে আর প্রয়োজন নেই। অসহায় ব্যক্তি বা পরিবারের হাতে টাকা তুলে দিয়ে সব হিসাব ফেসবুকেই জানিয়ে দেন মামুন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ সব ক স র জগঞ জ ফ সব ক অসহ য়

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ