গ্লোবাল টেক জায়ান্ট শাওমি বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এলো বহুল প্রতীক্ষিত নতুন দুটি স্মার্টফোন- শাওমি রেডমি নোট ১৪ প্রো এবং শাওমি রেডমি এ৫। সম্প্রতি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান ‘সেলিব্রেটিং ঈদ উইথ মি’ আয়োজনের মাধ্যমে শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী নতুন এই স্মার্টফোন দুটি উন্মোচন করেন।

অনুষ্ঠানটিতে জিয়াউদ্দিন চৌধুরী প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং প্রযুক্তি খাতে শাওমির সর্বশেষ উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শন করেন। সেই সাথে তিনি তার বক্তব্যে শাওমি ফ্যানদের প্রতি কোম্পানিটির প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানটিতে স্মার্টফোন খাতে শাওমির অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার প্রদর্শিত করার পাশাপাশি কীভাবে স্মার্টফোন বাজারে শাওমি মানদন্ডের পরিমাপক হয়ে উঠেছে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। শাওমি পরিবারের সদস্য ছাড়াও আয়োজনটিতে বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রেমী, সাংবাদিক ও শাওমি ফ্যানরা অংশ নেন।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী স্মার্টফোন আনলো অনার

নতুন দুই ফোন আনলো আইটেল

অনুষ্ঠানে শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “নতুন দুটি স্মার্টফোন উন্মোচন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। শাওমি গ্রাহকদের ‘ঈদ উইথ মি’ উদযাপনে নতুন দুটি ফোনের উন্মোচন বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। অত্যাধুনিক ফিচার-সমৃদ্ধ নতুন ফোন দুটির মাধ্যমে শাওমি ফ্যানরা এই ঈদে আরো ভালোভাবে তাদের আনন্দময় মুহূর্ত ধারণ ও উপভোগ করে নিতে পারবেন বলেই আমরা মনে করি।”

তিনি আরো বলেন, “শাওমি সবসময় গ্রাহকদের চাহিদানুযায়ী হাই কোয়ালিটির স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় শাওমি রেডমি নোট ১৪ প্রো এবং শাওমি রেডমি এ৫ বাজারে আনলো, যা অসাধারণ ক্যামেরা প্রযুক্তি, ইমার্সিভ ডিসপ্লে এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির সাথে দেবে দুর্দান্ত ইউজার এক্সপেরিয়েন্স।”

শাওমি রেডমি নোট ১৪ প্রো ডিভাইসটি শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করার পাশাপাশি ব্যাবহারকারীদের দেবে প্রিমিয়াম ক্যামেরা অভিজ্ঞতা। ডিভাইসটিতে আল্ট্রা-ক্লিয়ার ফটোগ্রাফির জন্য রয়েছে ২০০-মেগাপিক্সেল এআই ক্যামেরা এবং হাই রেজোলিউশন সেলফির জন্য রয়েছে ৩২-মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। ডিভাইসটির ক্যামেরায় অত্যাধুনিক এআই টুল ব্যবহার করে সহজেই চমৎকার সব নান্দনিক ছবি পাওয়া যাবে। আকর্ষণীয় ক্যামেরার পাশাপাশি স্মার্টফোনটির ৬.

৬৭-ইঞ্চি অ্যামোলেড কার্ভড ডিসপ্লে এবং ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট ব্যবহারকারীদের দেবে সুপার স্মুথ স্ক্রলিং ও ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা।   

সার্বিক পারফরম্যান্স ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে শাওমি রেডমি নোট ১৪ প্রো-এ প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেকের হেলিও জি-১০০ আল্ট্রা চিপসেট। শক্তিশালী এই চিপসেট গ্রাহকদের মাল্টিটাস্কিং, গেমিং এবং স্ট্রিমিং অভিজ্ঞতাকে করে তুলবে আরো দুর্দান্ত ও প্রাণবন্ত। এছাড়াও ডিভাইসটির অন্যতম আকর্ষণ এর শক্তিশালী ৫৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াটের টার্বো চার্জিং প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে চমৎকার ব্যাটারি ব্যাকআপের পাশাপাশি রয়েছে মাত্র ৭২ মিনিটে ১০০% চার্জ হয়ে যাওয়ার সুবিধা।  

ফোনকে স্ক্র্যাচমুক্ত রাখতে ও বাড়তি সুরক্ষা দিতে ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী কর্নিং গরিলা গ্লাস ভিক্টাস ২ ও ওয়েট টাচ টেকনোলজি। এছাড়া ধূলাবালি ও পানির ছিটেফোঁটা থেকে সুরক্ষা পেতে এতে আছে আইপি ৬৪ রেটিং, যা দৈনন্দিক জীবনে স্মার্টফোন ব্যবহার আরো সহজ ও নিশ্চিন্ত করে তুলবে। মিডনাইট ব্ল্যাক, ওশ্যান ব্লু আর অরোরা পার্পল- এই তিনটি চমৎকার কালারে পাওয়া যাবে শাওমি রেডমি নোট ১৪ প্রো।

সাশ্রয়ের মধ্যে সেরা ফিচার ও কার্যকরী স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা প্রদানে শাওমি রেডমি এ৫ অন্যতম। ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সেটআপ, যার মাধ্যমে ফটোপ্রেমীরা পেয়ে যাবেন স্পষ্ট ও ডিটেইলড ছবি। এছাড়াও স্মার্টফোনটির ৬.৮৮-ইঞ্চি এইচডি+ ডিসপ্লে এবং ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট ব্যবহারকারীদের দেবে মসৃণ এবং ইমার্সিভ ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা। ডিভাইসটির নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে এতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ইউনিসক টি৭২৫০। পাশাপাশি এর ৫২০০এমএএইচ ব্যাটারি ও ১৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং ক্যাপাসিটি ইউজারকে দেবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ। মিডনাইট ব্ল্যাক, স্যান্ডি গোল্ড, লেক গ্রীন ও ওশ্যান ব্লু- এই চারটি আকর্ষণীয় কালারে পাওয়া যাবে শাওমি রেডমি এ৫।

শাওমি রেডমি নোট ১৪ প্রো স্মার্টফোনটি ৮ জিবি+২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে, দাম ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। অপরদিকে শাওমি রেডমি এ৫ স্মার্টফোনটি ৪ জিবি+৬৪ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে, দাম ১০ হাজার ৯৯৯ টাকা। স্মার্টফোন দুটি দেশব্যাপী শাওমির যেকোনো অনুমোদিত স্টোর থেকে কেনা যাবে।

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র কর ন ট ১৪ প র অন ষ ঠ ন নত ন দ

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়

অভাগাদের বছরে ‘কুফা’ কাটানোর তালিকায় সর্বশেষ নাম দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসে গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টেস্টের রাজদণ্ড হাতে পেয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। প্রোটিয়াদের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর শেষ হয়েছে।

তবে এর রেশ থাকতেই চলে এসেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর বা চক্র। ২০২৫-২৭ চক্রের শুরুটা হচ্ছে বাংলাদেশকে দিয়েই। আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটিই প্রথম সিরিজ।

ক্রিকেটের অভিজাত এই সংস্করণে বাংলাদেশ প্রায় ২৫ বছর পার দিলেও রেকর্ড ভালো নয়। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আসার পর থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ক্রমশ উন্নতির দিকে।

প্রথম চক্রে (২০১৯-২১) কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয় চক্রে (২০২১-২৩) মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে বলার মতো কিছু নেই। প্রথম দুই চক্র শেষ করতে হয়েছে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে।

তবে তৃতীয় চক্রে (২০২৩-২৫) বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ আশাব্যঞ্জক। ১২ টেস্ট খেলে জিতেছে চারটিতে। এর মধ্যে গত বছর পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের সুখস্মৃতিও আছে। পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান ছিল সাত নম্বরে; পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপরে। তিন চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশ খেলেছে ৩১ টেস্ট। জিতেছে পাঁচটি, ড্র করে দুটি আর হেরেছে ২৪টি।

এবার কী হবে? শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আশার বাণীই শুনিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল। তিনি বলেছেন, ‘গত চক্রে আমরা চারটা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের একটু উন্নতি হয়েছে। লক্ষ্য থাকবে এই চক্রে কীভাবে আরও একটা-দুইটা ম্যাচ বেশি জিততে পারি।’ সেটা কতটুকু সম্ভব, সময়ই বলে দেবে।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগের তিন চক্রের মতো এবারও অংশ নিচ্ছে ৯ দল। প্রত্যেক দল খেলবে ছয়টি করে সিরিজ—তিনটি নিজেদের মাঠে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। পয়েন্ট সিস্টেমেও কোনো পরিবর্তন আসেনি (জিতলে ১২, ড্র করলে ৪, টাই করলে ৬ পয়েন্ট)।

তবে এবার ম্যাচের সংখ্যা গত দুবারের চেয়ে একটি বেড়েছে। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭১টি, সিরিজ ২৭টি। প্রত্যেক সিরিজেই সর্বনিম্ন দুই ও সর্বোচ্চ পাঁচটি ম্যাচ হবে।

চতুর্থ চক্রের ফাইনালও লর্ডসে আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ম্যাচ হবে ২০২৭ সালের জুনে। ফাইনালের আগে শেষ সিরিজ হবে সেই বছরের মার্চে; পাকিস্তানে দুটি টেস্ট খেলতে যাবে নিউজিল্যান্ড।

এবার সবচেয়ে বেশি ২২ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। সবচেয়ে কম ১২টি করে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা, যাদের সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে এবারের চক্র। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ দলের টেস্ট সিরিজ এই একটিই। নাজমুল-মুশফিক-তাইজুলদের বাকি পাঁচ সিরিজই ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। সব সিরিজেই দুটি করে ম্যাচ।

২০২৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ মার্চে, ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেই বছরের আগস্টে দল যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। ২০০৩ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেটিই হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের প্রথম টেস্ট সিরিজ।

এই চক্রে বাংলাদেশের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সিরিজ খেলবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে; খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের মাসে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। বাংলাদেশের শেষ সিরিজ দেশের মাটিতেই; ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসবে ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের পর এটিই হবে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ।

অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো খবর হলো ২০২৫-২৭ চক্রে বাংলাদেশ যে ছয় দলের বিপক্ষে খেলবে, এর চারটির বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে তারা হারেনি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছে আর পাকিস্তানকে করেছে ধবলধোলাই (দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়)। সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কা আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন অধিনায়ক কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তামিমের
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়
  • ব্রাজিলে আলোকাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • ব্রাজিলে আলো কাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির 
  • কোচ কাবরেরার পদত্যাগ দাবি, অনিশ্চয়তায় ভবিষ্যৎ