চার দেশের অভিবাসীর বৈধতা বাতিলের সিদ্ধান্ত ট্রাম্প প্রশাসনের
Published: 23rd, March 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ঘোষণা করেছে, কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া এবং ভেনেজুয়েলার পাঁচ লাখের বেশি অভিবাসীর বৈধতা বাতিল করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, আগামী ২৪ এপ্রিল এসব অভিবাসীর যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে এবং এর আগেই তাদের দেশত্যাগ করতে হবে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে চালু হওয়া সিএইচএনভি (CHNV) নামের মানবিক কর্মসূচির আওতায় এসব অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিলেন। কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল বৈধ অভিবাসনের পথ উন্মুক্ত করা। তবে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় এসে এই কর্মসূচি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
২৪ এপ্রিলের মধ্যে কতজন অভিবাসী অন্য কর্মসূচির আওতায় বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি পাবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সিএইচএনভি কর্মসূচি বন্ধ হওয়ায় তাদের অনেকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
২০২২ সালে বাইডেন প্রশাসন প্রথমে ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের জন্য এই কর্মসূচি চালু করেছিল। পরে কিউবা, হাইতি ও নিকারাগুয়ার নাগরিকদেরও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের শর্তসাপেক্ষে দুই বছরের জন্য প্যারোল মর্যাদায় যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে এর জন্য তাদের একজন মার্কিন পৃষ্ঠপোষক থাকা বাধ্যতামূলক ছিল।
বাইডেন প্রশাসনের যুক্তি ছিল, এই কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন কমবে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, কর্মসূচিটি লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার ইউক্রেনীয় নাগরিকের অস্থায়ী বৈধতাও বাতিল করার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন।
উপসাগরীয় চার দেশের অভিবাসী সংখ্যা সিএইচএনভি কর্মসূচির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা অভিবাসীদের মধ্যে রয়েছে হাইতি যার অভিবাসী সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার। কিউবা, অভিবাসী সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ৯০০। নিকারাগুয়া, ৯৩ হাজার এবং ভেনেজুয়েলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিবাসী প্রবেশ করেছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অভ ব স
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে