পাকিস্তানে ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের ভাড়া কমল ২০ শতাংশ
Published: 23rd, March 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেলপথে ভ্রমণে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। মূলত ঈদের তিন দিনে সারাদেশে চলমান সব ট্রেনের ভাড়ায় ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে পাকিস্তান রেলওয়ে। শনিবার (২২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আরব নিউজ।
প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের তিন দিনে সারাদেশে সব ট্রেনের ভাড়ায় ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান রেলওয়ে। আগামী ৩১ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত টিকিট কাউন্টারগুলোতে এই ছাড় দেওয়া হবে। এ ছাড়া যেসব যাত্রী আগাম টিকিট বুকিং করবেন, তারাও এ সুবিধা পাবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের তিন দিনে পাকিস্তান রেলওয়ের ইকোনমি ক্লাস, এসি পার্লার, এসি স্লিপার, এসি বিজনেস এবং এসি স্ট্যান্ডার্ড ক্লাসে ভ্রমণের সময় ২০ শতাংশ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা। এই ছাড় সব মেইল এক্সপ্রেস, যাত্রীবাহী এবং আন্ত নগর ট্রেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
আরো পড়ুন:
হাসানের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে কিউইদের উড়িয়ে দিল পাকিস্তান
তরুণদের প্রতি আস্থা রাখার আকুতি রাউফের
তবে ঈদ উপলক্ষে চালানো বিশেষ ট্রেনগুলোতে এই ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে না।
পাকিস্তান রেলওয়ের সাতটি বিভাগের বিভাগীয় সুপারিনটেনডেন্ট এবং বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি নিয়মিত বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।
প্রতি বছর লাখ লাখ পাকিস্তানি পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য দূর-দূরান্তের শহর ও বিদেশ থেকে বিমান, ট্রেন, বাসে তাদের নিজ শহরে যাতায়াত করেন। পাকিস্তান রেলওয়ে যাত্রীদের সুবিধার্থে উভয় ঈদেই বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ক স ত ন র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রম আইনের সংশোধন কবে হবে, তা বলছে না শ্রম মন্ত্রণালয়
শ্রম আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ কবে হবে, সে বিষয়ে আর সময়সীমার কথা বলছে না শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। গত নভেম্বর মাসে এই মন্ত্রণালয় বলেছিল, ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এ অধ্যাদেশ হবে। মার্চ শেষে এপ্রিলও শেষ হচ্ছে আজ বুধবার।
সচিবালয়ে আজ ‘মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আইন সংশোধনীর ক্ষেত্রে সময়সীমা থাকার পক্ষে নন তিনি। শ্রমিক–মালিকদের স্বার্থ রক্ষাসহ শিগগিরই তা করা হবে। বিষয়টি এখন কোন প্রক্রিয়ায় আছে, তা বলতে রাজি হননি শ্রম উপদেষ্টা।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে’। তিনি আরও বলেন, ‘একসময় স্লোগান ছিল দুনিয়ার মজদুর, এক হও।’ এখন তা বদলে গেছে। এখন হবে ‘দুনিয়ার মালিক-শ্রমিক, এক হও’। এখন ভালো মালিকেরা শ্রমিকদের সন্তানের মতো মনে করেন।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে ১০১টি ধারা ও উপধারা সংশোধন হবে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১০ থেকে ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
আইএলওর বৈঠকে যোগ দিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে যে দলটি জেনেভা সফর করে, সেখানে শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হোসেন সরকার ও শ্রম উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর তৎকালীন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আইএলওর গভর্নিং বডির বৈঠক থেকে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মার্চের মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন হবে। উপদেষ্টা তখন এ–ও বলেছিলেন, আগের সরকারের আইনমন্ত্রীর (আনিসুল হক) নেতৃত্বাধীন দলকে আইএলও পর্ষদে অপদস্থ করা হয়েছিল। অথচ এবারের চিত্র ছিল ভিন্ন। বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো নিয়ে বরং প্রশংসা করা হয়েছে। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো তুলে নেওয়ার কথাও বলেছিল।
জানা গেছে, শ্রম অধিকার বাস্তবায়নে ঘাটতির অভিযোগ এনে জাপানসহ ছয়টি দেশের পক্ষ থেকে আইএলওতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। মামলাগুলো চলমান।
আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাত মিলিয়ে দেশে ৭ কোটি ৬৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। এদিকে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদকে (টিসিসি) শ্রমিকপক্ষ জানিয়েছে, আইন সংশোধনের সময় সব শ্রমিকের কথা মাথায় না রেখে প্রধানত পোশাক খাতের শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মে দিবস আর জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ–স্কুল পর্যায়ে রচনা ও প্রবন্ধ লেখার ওপরে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হবে।
এ ছাড়া শ্রম অধিকার বিষয়ে প্রকাশিত বা প্রচারিত মানসম্মত সংবাদ বা স্থিরচিত্র যাচাই করে সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহকদের দেওয়া হবে পুরস্কার।