মেগা উই কেয়ারের তথ্য, ত্বকের যত্নের পণ্যে আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত কিনা সেটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। নাহলে আপনার ত্বকে জ্বালাপোড়া, ফুসকুড়ি এবং এমনকি সম্পূর্ণ অ্যালার্জির ঝুঁকি থাকবে। প্রসাধনীতে প্যারাবেন, এসএলইএস, আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড, সুগন্ধি বা প্রিজারভেটিভের মতো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে।– ত্বকের জন্য মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া প্রসাধনী অনেক বেশি ক্ষতিকর। বিস্তারিত জেনে নিন। 

চোখের সংক্রমণ: অনেকে চোখের কালোভাব ফুটিয়ে তোলার জন্য পল্লবে মাশকারা ব্যবহার করনে। এই প্রসাধনী ৪ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। এরপর এর উপযোগীতা শেষ হয়ে যায়। কেউ কেউ আবার শুকিয়ে যাওয়া মাশকারা ফেলে না দিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আবারও ব্যবহারের চেষ্টা করেন। কিন্তু ৬ মাস পার হওয়ার পরে কোনো মাশকারা ব্যবহারের ফলে চোখে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। 

চোখে সংক্রমণ হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে আইলাইনার। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে এতে ছত্রাক পড়ে যেতে পারে। ছত্রাক পড়া আইলাইনার ব্যবহারে চোখে ব্যাক্টেরিয়া আক্রমণ করতে পারে। চোখের পাতা ফুলে যেতে পারে। একটি আইলাইনার মোটামুটি ছয় মাস পর্যন্ত ব্যবহার উপযোগী থাকে। 

আরো পড়ুন:

কখন বুঝবেন রক্তে ইউরিক এসিড বেড়ে গেছে

রোজায় লুজ মোশনের ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

মুখের সংক্রমণ: মুখে লালবে আভা ফুটিয়ে তোলার জন্য ব্লাশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্রিম ব্লাশ বা পাউডার ব্লাশ যাইহোক না কেন ব্লাশের মেয়াদ খুব বেশি দিন থাকে না।  ব্লাশ ব্যবহারের পরে ত্বকে কোনো অস্বস্তি দেখা দিলে আর ব্যবহার করা উচিত নয়। ব্লাশ কেনার সময় নির্দেশিকা বুঝে নিয়ে সেটি ফলো করা উচিত।

ত্বকে সংক্রমণ: ফাউন্ডেশন বা মেকআপ ব্যবহার করেন না এমন নারী পাওয়া কঠিন। অনেকে খুব যত্ন করে অনেক দিন পর্যন্ত একটি ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে একই ফাউন্ডেশন ব্যবহারের ফলে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে। 

ঠোঁটে সংক্রমণ: ঠোঁট রাঙানোর জন্য লিপস্টিক ব্যবহার করা হয়। সেটা তরল বা স্টিক হতে পারে। কিন্তু মেয়াদ থাকে ৬ থেকে ৮ মাস।  মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো। এতে ঠোঁটে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র কর ব যবহ র র স ক রমণ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ