উপমহাদেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা টিভি আয়োজনে খুব কমই গান করেন। তবে যে কোনো উৎসব আয়োজনে তাঁকে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ঈদ আনন্দমেলা’য় থাকছে তাঁর গান।
গত বছর প্রথমবারের মতো আনন্দমেলায় গান করেছিলেন রুনা লায়লা। ওই আয়োজনে নন্দিত কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন এই প্রজন্মের আরও চার শিল্পী– দিলশাদ নাহার কনা, ইমরান মাহমুদুল, জানিতা আহমেদ ঝিলিক ও সাব্বির জামান। এটি শ্রোতারা বেশ পছন্দ করেছিলেন। এবারের আনন্দমেলায় তিনি একাই গাইবেন। তাঁর কণ্ঠে শোনা যাবে ‘শিল্পী আমি তোমাদের গান শোনাবো’ গানটি। আগামীকাল ২৪ মার্চ বিটিভির নিজস্ব অডিটোরিয়ামে আনন্দমেলার শুটিংয়ে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে বিটিভির একটি সূত্র।
জানা গেছে, রুনা লায়লার পাশাপাশি এবারের আনন্দমেলায় আরও অনেক তারকা হাজির হবেন। থাকছে তারকাশিল্পীদের অংশগ্রহণে নাচ, চমৎকার কিছু স্কিডসহ হরেক আয়োজন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন মাসুমা রহমান নাবিলা ও মামনুন ইমন। এর আগে ২০১৮ সালে আনন্দমেলা উপস্থাপনা করেন নাবিলা। ওই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সজল নূর। সাত বছর পর ফিরলেন তিনি। ৫০ মিনিটের অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করছেন মাহবুবা ফেরদৌস, মো.
আনন্দমেলা প্রসঙ্গে মোহাম্মদ মনিরুল হাসান সমকালকে বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও আনন্দমেলা বর্ণিল হবে। দর্শক-শ্রোতাদের প্রত্যাশা থাকে আনন্দমেলায় বড় মাপের কোনো শিল্পীর উপস্থিতির। এবারের আয়োজনে বড় চমক রুনা লায়লা। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। ফিরেই শুটিংয়ে অংশ নেবেন। তাঁর উপস্থিতি আয়োজনকে আলোকিত করবে। চেষ্টা করেছি দর্শক প্রত্যাশামাফিক অনুষ্ঠান সাজাতে। আশা করছি, তারকাবহুল আনন্দমেলা দর্শকের মন ভরাবে।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি