Samakal:
2025-08-01@04:46:03 GMT

ঈদ আনন্দমেলায় রুনা লায়লা 

Published: 23rd, March 2025 GMT

ঈদ আনন্দমেলায় রুনা লায়লা 

উপমহাদেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা টিভি আয়োজনে খুব কমই গান করেন। তবে যে কোনো উৎসব আয়োজনে তাঁকে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ঈদ আনন্দমেলা’য় থাকছে তাঁর গান।

গত বছর প্রথমবারের মতো আনন্দমেলায় গান করেছিলেন রুনা লায়লা। ওই আয়োজনে নন্দিত কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন এই প্রজন্মের আরও চার শিল্পী– দিলশাদ নাহার কনা, ইমরান মাহমুদুল, জানিতা আহমেদ ঝিলিক ও সাব্বির জামান। এটি শ্রোতারা বেশ পছন্দ করেছিলেন। এবারের আনন্দমেলায় তিনি একাই গাইবেন। তাঁর কণ্ঠে শোনা যাবে ‘শিল্পী আমি তোমাদের গান শোনাবো’ গানটি। আগামীকাল ২৪ মার্চ বিটিভির নিজস্ব অডিটোরিয়ামে আনন্দমেলার শুটিংয়ে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে বিটিভির একটি সূত্র। 

জানা গেছে, রুনা লায়লার পাশাপাশি এবারের আনন্দমেলায় আরও অনেক তারকা হাজির হবেন। থাকছে তারকাশিল্পীদের অংশগ্রহণে নাচ, চমৎকার কিছু স্কিডসহ হরেক আয়োজন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন মাসুমা রহমান নাবিলা ও মামনুন ইমন। এর আগে ২০১৮ সালে আনন্দমেলা উপস্থাপনা করেন নাবিলা। ওই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সজল নূর। সাত বছর পর ফিরলেন তিনি। ৫০ মিনিটের অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করছেন মাহবুবা ফেরদৌস, মো.

হাসান রিয়াদ ও মোহাম্মদ মনিরুল হাসান। এটি প্রচার হবে ঈদের দিন রাতে।

আনন্দমেলা প্রসঙ্গে মোহাম্মদ মনিরুল হাসান সমকালকে বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও আনন্দমেলা বর্ণিল হবে। দর্শক-শ্রোতাদের প্রত্যাশা থাকে আনন্দমেলায় বড় মাপের কোনো শিল্পীর উপস্থিতির। এবারের আয়োজনে বড় চমক রুনা লায়লা। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। ফিরেই শুটিংয়ে অংশ নেবেন। তাঁর উপস্থিতি আয়োজনকে আলোকিত করবে। চেষ্টা করেছি দর্শক প্রত্যাশামাফিক অনুষ্ঠান সাজাতে। আশা করছি, তারকাবহুল আনন্দমেলা দর্শকের মন ভরাবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ