খুলনায় ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচ ব্যক্তিকে এক দিনের জন্য জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে খুলনার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২–এর বিচারক মো. আল আমিন এই অনুমতি দেন।

ওই মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন খুলনা মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহাবুব হাসান (পিয়ারু), জাতীয় নাগরিক কমিটির খুলনা মহানগরের সদস্য ইমন মোল্লা, খুলনার স্থানীয় একটি পত্রিকার সাংবাদিক জিয়াউস সাদাত, ইমনের সহযোগী জয় হাসান ও সাকিব রহমান। অপহৃত ব্যবসায়ীকে ইমন মোল্লার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো.

হেলাল উদ্দিন বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তাঁদের এক দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

এর আগে ব্যবসায়ী মো. নুর আলমকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আজ সকালে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন নুর আলমের ছেলে কৌশিক আহমেদ। আগের রাতে আটক পাঁচজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

গত শুক্রবার রাতে খুলনা নগরের বসুপাড়া এলাকায় অবস্থিত কৌশিক আহমেদের ভাড়া বাড়ি থেকে তাঁর বাবা ব্যবসায়ী মো. নুর আলমকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। নুর আলম গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মো. তৈমুর ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী নুর আলমের ছেলে খুলনা নগরের বসুপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। কিছুদিন আগে নুর আলম ছেলের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। সাংবাদিক জিয়াউস সাদাত নুর আলমদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় হন। তিনি (জিয়াউস সাদাত) নুর আলমের খুলনায় আসার ব্যাপারটি জানতেন। নুর আলমকে অপহরণ করা হলে মোটা অঙ্কের টাকা পাওয়া যেতে পারে বলে তিনি যুবদল নেতা মাহবুব হাসান ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা ইমন মোল্লাকে জানান। এরপর তিনজন মিলে পরিকল্পনা করে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে নুর আলমকে তাঁর ছেলের বাড়ি থেকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে আসেন।

পুলিশ কর্মকর্তা তৈমুর ইসলাম আরও বলেন, ব্যাপারটি জানার পর শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে অভিযান শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় নগরের ময়লাপোতা এলাকায় মুক্তিপণের টাকা নিতে এলে ইমন মোল্লাকে আটক করা হয়। পরে তাঁর বাড়ি থেকে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। সেখান থেকে ইমন মোল্লার দুই সহযোগী জয় হাসান ও সাকিব রহমানকে আটক করা হয়। ওই দুজন ব্যবসায়ী নুর আলমকে পাহারা দিচ্ছিলেন। পরে তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাহবুব হাসান ও জিয়াউস সাদাতকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।

আরও পড়ুনখুলনায় ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে যুবদল–জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাসহ আটক ৫১১ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইমন ম ল ল ব যবস য় ক ন র আলমক ন র আলম নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।

উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।

পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার