ভারতের বিপক্ষে ২৫ মার্চের ম্যাচে বাংলাদেশের রক্ষণভাগকে রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সেন্টারব্যাক ও দলের  অন্যতম অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার হিসেবে তপু বর্মণের ওপর থাকবে বাড়তি দায়িত্ব। সেই দায়িত্বপালনে প্রস্তুত তপু।

শিলংয়ে আজ বাংলাদেশ দলের অনুশীলন শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে এসে তপু বলেন, ‘এই ম্যাচে বড় দায়িত্ব থাকবে আমার ওপর। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হবে গোল না খাওয়া এবং একই সঙ্গে দলকে উজ্জীবিত করা। লক্ষ্য থাকবে, আমার সঙ্গে রক্ষণে যে তিনজন থাকবে, তাদের নিয়ে যেন ভালো ফাইট দিতে পারি এবং গোল যেন না খাই।’

শুধু গোল আটকানো নয়, গোল করার দিকেও থাকবে তাঁর নজর। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ৪টিসহ জাতীয় দলে ৬০ ম্যাচে ৬ গোল। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারে ২৩ গোল।বাংলাদেশের অনেক শীর্ষ ফরোয়ার্ডেরও এত গোল নেই। জাতীয় দলের ফুটবলারদের মধ্যে তপুর গোলই এখন সবচেয়ে বেশি। ১৫ ম্যাচে শেখ মোরছালিনের ৫ গোল, নাবিব নেওয়াজের ৩০ ম্যাচে ৫ গোল। রাকিবের ৪১ ম্যাচে ৪ গোল। এ মৌসুমে ঘরোয়া ফুটবলে ৭ গোল করেছেন তপু। তিনটি করে লিগ ও ফেডারেশন কাপে। একটি চ্যালেঞ্জ কাপে।

আরও পড়ুনহামজা আসলে কতটা ভালো, কী বলছেন তাঁর বাংলাদেশ-সতীর্থ১৪ ঘণ্টা আগে

নিজের গোল করার দক্ষতা থেকেই ভারত ম্যাচে গোল করতে চান তপু। তাই তো বলেন, ‘ঘরোয়া মৌসুমে আমি এবার ৭টি গোল করেছি। এটা আমাকে উজ্জীবিত করে, যাতে দেশের জন্য গোল করতে পারি। আসল লক্ষ্য থাকবে গোল যেন না খাই এবং গোল করতে পারি।’

অনুশীলনে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন হামজারা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ