মোগল আমলের নিদাড়িয়া মসজিদে এখনো নামাজ পড়েন মুসল্লিরা, দেখতে আসেন দূরদূরান্তের মানুষ
Published: 24th, March 2025 GMT
লালমনিরহাট জেলার প্রাচীন স্থাপত্যের একটি উজ্জ্বল নির্দশন হিসেবে কয়েক শ বছর ধরে গৌরবের সঙ্গে টিকে আছে নিদাড়িয়া মসজিদ। মোঘল আমলে নির্মিত মসজিদটিতে এখনো নিয়মিত নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। আশপাশের এলাকার পাশাপাশি দূরদূরান্ত থেকেও সাধারণ মানুষ দেখতে আসেন মসজিদটি।
রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিণে লালমনিরহাট সদরের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের কিসামত নগরবন্দ মৌজায় নিদাড়িয়া মসজিদের অবস্থান। মসজিদের নির্মাতা সম্পর্কে খোদাই করা তথ্য বোধগম্য না হলেও শিলালিপিতে নির্মাণকাল ১১৭৬ হিজরি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইট ও চুন-সুরকি দিয়ে নির্মিত তিন গম্বুজ ও তিন দরজাবিশিষ্ট মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪২ ফুট এবং প্রস্থ ১৬ ফুট ৮ ইঞ্চি। মসজিদের পশ্চিম দেয়াল থেকে বর্ধিত কোনো মিহরাব নেই। দেয়ালের ভেতরের দিকের সামান্য ফাঁকা অংশ মিহরাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দরজার কাছের দেয়ালের পুরুত্ব ৩ ফুট।
মসজিদটির দেয়াল বরাবর ওপরে চারদিকে ছোট–বড় মিনার রয়েছে ১২টি। সামনে প্রাচীরের প্রবেশপথের দক্ষিণ দিকে ১৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের একটি হুজরাখানা রয়েছে।
১৯৯৭ সালে নিদাড়িয়া মসজিদটি বাংলাদেশের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক পুরাকীর্তি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। মসজিদ–সংলগ্ন স্থানে বাংলা ও ইংরেজিতে জাদুঘর ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্থাপন করা সাইনবোর্ডে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি এই পুরাকীর্তির কোনো রকম ধ্বংস বা অনিষ্ট সাধন করলে বা এর কোনো বিকৃতি বা অঙ্গচ্ছেদ ঘটালে বা এর কোনো অংশের ওপর কিছু লিখলে বা খোদাই করলে বা কোনো চিহ্ন বা দাগ কাটলে ১৯৬৮ সালের পুরাকীর্তি সংরক্ষণ আইনে সর্বাধিক এক বছর পর্যন্ত জেল, জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
দূরদূরান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সাধারণ মানুষ নিদাড়িয়া মসজিদটি দেখতে আসেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি