বগুড়ায় শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে থানায় মামলা
Published: 24th, March 2025 GMT
বগুড়ার শেরপুরে এক শিশুকে (৯) যৌন নিপীড়নের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে শিশুটির দাদি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন।
শিশুটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শহিদুল সরকার (৪৫)।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামে টিউবওয়েলের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপ থেকে পানি কম ওঠে। এ কারণে গ্রামের অনেকেই বাড়ির পাশে ধানের জমিতে সেচযন্ত্র চালু করলে গোসল করে থাকেন। ভুক্তভোগী শিশুটি তার চাচাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশে সেচযন্ত্রের পানিতে গোসল করেছিল। পাশে সেচঘরে সে ভেজা কাপড় পরিবর্তন করছিল। এ সময় এই সেচযন্ত্রের মালিক শহিদুল সরকার সেখানে আসেন। তিনি শিশুটির শরীরে হাত দেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শহীদুল পালিয়ে যান।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই তাঁকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।