দিনাজপুরে শহীদদের পরিবারকে ঈদ উপহার দিল জিয়া ফাউন্ডেশন
Published: 24th, March 2025 GMT
দিনাজপুরে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) দিনাজপুরের চার শহীদ পরিবারের মাঝে এসব ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।
শহীদগণ হলেন, দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ৬ নম্বর ভান্ডারা ইউনিয়নের নাগরবাড়ি গ্রামের শহীদ মো. জিয়াউর রহমান, একই উপজেলার মাধবাটির করলা গ্রামের শহীদ মো.
শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান, দাদা-দাদি ও ভাই-বোন ঈদ উপহার সামগ্রী গ্রহণ করেন।
ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, দিনাজপুর জেলায় উপহার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের সমন্বয়ক এবং হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) অধ্যাপক মো. আবু হাসান, কৃষিবিদ আবু তারিক সিদ্দিকী।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, হাবিপ্রবির অধ্যাপক মো. হাসানুজ্জামান, অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর কবির, অধ্যাপক এরফান আলী খোন্দকার, অধ্যাপক মো. কুতুবউদ্দিন, অধ্যাপক মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ প্রমুখ।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার চার শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল পার্বতীপুরের শহীদ শিমুল, বীরগঞ্জের শহীদ আল আমিন ইসলাম এবং চিরির বন্দরের শহীদ সুমন পাটোয়ারীর পরিবারের কাছে ঈদ উপহার পৌঁছানো হবে।
ঢাকা/সংগ্রাম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।