টাঙ্গাইলে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যা
Published: 24th, March 2025 GMT
টাঙ্গাইলের বাসাইলে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের এক কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৩ মার্চ) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, শনিবার রাতে উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খানের বাড়িতে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
নিহত রঞ্জু খন্দকার (৩৫) জেলার ভূঞাপুর উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের রাজ্জাক খন্দকারের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খান তার মাদকাসক্ত ছেলে ফরিদ খান (২৩) কে টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। সেই প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের ছয় কর্মচারী মনির খানের বাড়িতে যান। এ সময় ফরিদকে ঘর থেকে বের করার চেষ্টা করেন তারা। ফরিদ ডাক-চিৎকার করলে পাশের বাড়ির পলাশ, রিপন ও তালেব খানসহ কয়েকজন এগিয়ে আসেন। পরে ফরিদ, পলাশ, রিপন ও তালেব খানসহ কয়েকজনে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে রঞ্জু খন্দকারসহ বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের চার কর্মচারী আহত হন। এর মধ্যে, রঞ্জু খন্দকারের অবস্থা ছিল গুরুতর। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
বাবাকে ‘হত্যার’ পর ছেলের মৃত্যু
মাদারীপুরে শ্রমিক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মালিক খন্দকার মজিবর রহমান তপন বলেন, ‘‘মাদকাসক্ত ফরিদকে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য তার বাবা মনির খান আবেদন করেন। সেই প্রেক্ষিতে আমাদের ছয় কর্মী ফরিদকে আনতে তাদের বাড়িতে যান। সেখানে অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রঞ্জুর মৃত্যু হয়।’’
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ‘‘নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’’
ঢাকা/কাওছার/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মন র খ ন র জন য অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’