ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলায় একটি নবজাতক করা উদ্ধার হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টায় উপজেলায় জামালপুর ইউনিয়নে মহেসালী গ্রামের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় শানু আক্তার জানান, সকালে জমিতে কাজ করতে ভুট্টা ক্ষেতের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনতে পান। একটু ভিতরে গিয়ে দেখেন, একটি মেয়ে নবজাতক কান্না করছে। এরপর নবজাতকটি উদ্ধার করে তিনি বাসায় নিয়ে আসেন।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম জানান, বাচ্চাটির পিতামাতার খোঁজ করা হচ্ছে। যদি খুঁজে পাওয়া যায়, তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। না হয় শিশুটিকে নিজের কাছে রাখতে ইচ্ছুক থাকলে তাকে বিবেচনায় নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন:

হাসপাতালে টয়লেটের পাইপে নবজাতক

গুলিতে আহত অন্তঃস্বত্ত্বা জন্ম দিলেন ছেলে সন্তান

ঠাকুরগাঁওয়ের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা.

আবুল বাসার মো. সায়েদুজ্জামান জানান, শিশুটি প্রাথমিকভাবে সুস্থ বলে মনে হয়েছে। তবে যেহেতু দীর্ঘ সময় খালি গায়ে মাটিতে পড়ে ছিল, তাই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যে হাসপাতালে নেওয়া হবে।

ঢাকা/হিমেল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঠ ক রগ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ