পারিবারিক দ্বন্দ্ব চরমে, বাবার পদবি বাদ দিলেন প্রতীক
Published: 24th, March 2025 GMT
বাব্বর পরিবারের অন্দরমহলে সমস্যা চলছিল বহুদিন ধরেই। সম্পর্কে ধরেছিল চওড়া ফাটল। তবে তা প্রকাশ্যে আসে গত ফেব্রুয়ারিতে অভিনেতা প্রতীক বাব্বরের বিয়ের দিন। দীর্ঘদিনের প্রেমিকা প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছাঁদনাতলায় বসেছিলেন প্রতীক।
আরও পড়ুনপ্রতীক ও প্রিয়ার আংটিবদল১৩ জানুয়ারি ২০২৪তবে এই বিশেষ দিনে নিজের পরিবারকে আমন্ত্রণ জানাননি তিনি। বাবা রাজ বাব্বর, সৎভাই আর্য ও সৎবোন জুহি বাব্বরকে যে আমন্ত্রণ জানাননি প্রতীক, সে খবরে আগেই সিলমোহর দিয়েছিলেন খোদ আর্য। জানিয়েছিলে, ছয় মাস যাবৎ বাব্বর পরিবারের মধ্যে সমস্যা চলছে; প্রতীক কেন এই বিয়ের অনুষ্ঠানে থেকে তাঁর পরিবারকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন, তার কারণ তিনি জানেন না। তবে এবার কফিনে আরও একটি পেরেকটি গেঁথে দিলেন প্রতীক। নিজের নাম থেকে বাব্বর পদবি ছেঁটে ফেললেন তিনি! নাম বদলে রাখলেন প্রতীক স্মিতা পাতিল! খবর বলিউড বাবলের
নিজের প্রয়াত মা তথা অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের নাম নিজের নামের সঙ্গে জুড়ে নিলেন প্রতীক। কেন এ রকম করলেন তিনি? অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর নাম ও পরিচয়ের সঙ্গে কেবল নিজের মাকেই জড়িয়ে রাখতে চান; বাবাকে নয়। তাই এ সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি স্পষ্ট করে এ–ও জানিয়ে দেন, তাঁর এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলাফল কী হবে, সেসব নিয়ে চিন্তিত নন তিনি।
প্রতীকের কথায়, ‘আমি খুব বেশি গভীরে গিয়ে কিছু ভাবিনি। সেটাই করেছি, যা আমার হৃদয়কে শান্তি দিয়েছে। এই নামবদলের সিদ্ধান্ত আমার ক্যারিয়ারে যদি কোনো কুপ্রভাবও ফেলে তো ফেলবে, কিছু যায়–আসে না।
প্রতীক বাব্বর। অভিনেতার ইনস্টাগ্রাম থেকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র র পর ব ব ব বর
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।