Samakal:
2025-08-01@09:08:08 GMT

সাকিবের সম্পদ জব্দের আদেশ

Published: 25th, March 2025 GMT

সাকিবের সম্পদ জব্দের আদেশ

চার কোটি টাকার চেক ডিজঅনারের মামলায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান গতকাল সোমবার বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। আইএফআইসি ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসার সাহিবুর রহমান গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
অপর আসামিরা হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী শাহাগীর হোসাইন, পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ নেয় এবং পরে এর বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে। এতে টাকার পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি ১৫ লাখ। তবে চেক দুটি দিয়ে টাকা তুলতে গেলে অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। 
এই মামলায় গত ১৮ ডিসেম্বর সাকিবসহ চারজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। তাদের ১৮ জানুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেদিন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ১৯ জানুয়ারি সাকিবসহ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মির্জা আজম ও স্ত্রীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, ব্যাংক হিসাব জব্দ
দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও তাঁর স্ত্রী দেওয়ান আলেয়ার ৩১টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে মির্জা আজমের ব্যাংক হিসাব ১৮টি, যেখানে জমা হয়েছে ৯৭ লাখ ২৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। আর তাঁর স্ত্রীর ১৩টি হিসাবে জমা দেওয়া হয়েছে ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৭ হাজার ৮৬৭ টাকা। এ ছাড়া মির্জা আজমের মালিকানাধীন ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পত্তি ও আলেয়ার মালিকানাধীন ১ হাজার ৭৮০ দশমিক ৭৬ শতাংশ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো.

জাকির হোসেন গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন। স্থাবর সম্পত্তিগুলো জামালপুর জেলায় রয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক। 

নাবিল গ্রুপের ১৭৮ বিঘা জমি জব্দের নির্দেশ
নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহান ও তাদের চার প্রতিষ্ঠানের ১৭৮ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব সম্পদ রাজশাহীর পবা থানাধীন তেকাটাপাড়া গ্রামের। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর আদালতের একই বিচারক গতকাল এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ থাকায় তাঁর সম্পদ জব্দের আবেদন করে দুদক।

খালেক ও নাহারের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক এবং তাঁর স্ত্রী বাগেরহাট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক বন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তাদের সাতটি ব্যাংক হিসাব ও তিনটি সঞ্চয়পত্রে মোট ৮ কোটি ১০ লাখ ২৯ হাজার টাকা জমা ছিল। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক শরীফ হোসেন হায়দার গতকাল এ আদেশ দেন।
দুদক খুলনা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ জানান, খালেক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে ঢাকা ও খুলনার বিভিন্ন ব্যাংকে তাদের দু’জনের এসব টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এই হিসাব অবরুদ্ধ করা না হলে তারা টাকা তুলে নিতে পারেন।

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

সালমানকে ১০০ কোটি, সায়ানকে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা

আইএফআইসি গ্যারান্টেড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রীন জিরো কূপন বন্ড ইস্যুতে জালিয়াতির কারণে সালমান এফ রহমান ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এছাড়া সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমানকে আজীবন, বিএসইসির সাবেক কমিশনার শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ ও আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টের সাবেক সিইও ইমরান আহমেদকে ৫ বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

একইসঙ্গে সালমান এফ রহমানকে ১০০ কোটি টাকা, আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমানকে ৫০ কোটি টাকা ও ক্রেডিট রেটিং প্রদানকারী ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিংকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। ৯৬৫তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

সিটি ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ

ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের শনাক্ত করে সিআইবিতে রিপোর্ট করার নির্দেশ

বুধবার (৩০ জুলাই) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশিপ জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১০০০ কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ড ২০২৩ সালের ৪ জুন ৮৭১তম কমিশন সভায় অনুমোদিত হয়েছিল। ওই বছরের ১২ জুলাই সেটার সম্মতিপত্র ইস্যু করা হয়েছিল। ওই বন্ডটির ইস্যুয়ার ছিল শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেড, যা ওই বছরের ২ মার্চ নিবন্ধিত একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। কোম্পানিটি নিবন্ধিত হওয়ার পরপরই ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল ওই বন্ড ইস্যুর আবেদন করেছিল। ওই কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ছিল ৫০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩৩৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে মাত্র ৪ দিনের ব্যবধানে ২৪৮ কোটি টাকার নগদ অর্থ ভূমি ক্রয় বা উন্নয়ন সংক্রান্ত কারণে উত্তোলন করা হয়েছিল, যেটি কমিশনের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।

এছাড়া ওই বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি, অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, ট্রাস্টি হিসেবে সন্ধানী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড, ক্রেডিট রেটিং প্রদানকারী হিসেবে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড, নিরীক্ষক হিসেবে এমজে আবেদীন অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি, মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে। কিন্তু আইএফআইসি ব্যাংক ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার)। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়। এ বিষয়ে পুঁজিবাজার অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি কর্তৃক অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালিত হয়েছে এবং এর প্রতিবেদন কমিশনে জমা হয়েছে।

এ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে কমিশন আইএফআইসি ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর রহমানকে ১০০ কোটি ও ব্যাংকের তৎকালীন ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানকে ৫০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার এবং পুঁজিবাজারে উভয়কে আজীবন অবাঞ্ছিত (পারসোনা নন গ্রাটা) ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

একই সঙ্গে বিএসইসির তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে পুঁজিবাজারে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার এবং তৎকালীন কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদকে ৫ বছরের জন্য পুঁজিবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের তৎকালীন সিইও ইমরান আহমেদকে ৫ বছরের জন্য পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সব ধরনের কাজে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

আইএফআইসি ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারওয়ারের বিরুদ্ধে অ্যানফোর্সমেন্ট কার্যক্রম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসঙ্গে আইএফআইসি ব্যাংককে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ব্যাংকের তৎকালীন মনোনীত পরিচালক এ আর এম নাজমুস সাকিব, গোলাম মোস্তফা, জাফর ইকবাল, কামরুন নাহার আহমেদ এবং তৎকালীন স্বতন্ত্র পরিচালক সুধাংশু শেখর বিশ্বাসকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ক্রেডিট রেটিং প্রদানকারী হিসেবে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এছাড়া ওই বন্ড সংশ্লিষ্ট অনিয়ম ও বিধিবিধান ভঙ্গের সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সালমান, শিবলী ও সায়ান পুঁজিবাজারে ‘আজীবন অবাঞ্ছিত’
  • সালমানকে ১০০ কোটি, সায়ানকে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা