Samakal:
2025-06-16@05:30:19 GMT

সাকিবের সম্পদ জব্দের আদেশ

Published: 25th, March 2025 GMT

সাকিবের সম্পদ জব্দের আদেশ

চার কোটি টাকার চেক ডিজঅনারের মামলায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান গতকাল সোমবার বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। আইএফআইসি ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসার সাহিবুর রহমান গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
অপর আসামিরা হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী শাহাগীর হোসাইন, পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ নেয় এবং পরে এর বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে। এতে টাকার পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি ১৫ লাখ। তবে চেক দুটি দিয়ে টাকা তুলতে গেলে অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। 
এই মামলায় গত ১৮ ডিসেম্বর সাকিবসহ চারজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। তাদের ১৮ জানুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেদিন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ১৯ জানুয়ারি সাকিবসহ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মির্জা আজম ও স্ত্রীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, ব্যাংক হিসাব জব্দ
দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও তাঁর স্ত্রী দেওয়ান আলেয়ার ৩১টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে মির্জা আজমের ব্যাংক হিসাব ১৮টি, যেখানে জমা হয়েছে ৯৭ লাখ ২৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। আর তাঁর স্ত্রীর ১৩টি হিসাবে জমা দেওয়া হয়েছে ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৭ হাজার ৮৬৭ টাকা। এ ছাড়া মির্জা আজমের মালিকানাধীন ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পত্তি ও আলেয়ার মালিকানাধীন ১ হাজার ৭৮০ দশমিক ৭৬ শতাংশ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো.

জাকির হোসেন গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন। স্থাবর সম্পত্তিগুলো জামালপুর জেলায় রয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক। 

নাবিল গ্রুপের ১৭৮ বিঘা জমি জব্দের নির্দেশ
নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহান ও তাদের চার প্রতিষ্ঠানের ১৭৮ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব সম্পদ রাজশাহীর পবা থানাধীন তেকাটাপাড়া গ্রামের। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর আদালতের একই বিচারক গতকাল এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ থাকায় তাঁর সম্পদ জব্দের আবেদন করে দুদক।

খালেক ও নাহারের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক এবং তাঁর স্ত্রী বাগেরহাট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক বন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তাদের সাতটি ব্যাংক হিসাব ও তিনটি সঞ্চয়পত্রে মোট ৮ কোটি ১০ লাখ ২৯ হাজার টাকা জমা ছিল। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক শরীফ হোসেন হায়দার গতকাল এ আদেশ দেন।
দুদক খুলনা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ জানান, খালেক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে ঢাকা ও খুলনার বিভিন্ন ব্যাংকে তাদের দু’জনের এসব টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এই হিসাব অবরুদ্ধ করা না হলে তারা টাকা তুলে নিতে পারেন।

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি: নৈশপ্রহরীর দুই সহযোগীর রিমান্ড

কেরাণীগঞ্জে আইএফআইসি ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ১৫ লাখ টাকা চুরির মামলায় ব্যাংকের নৈশপ্রহরী মো. সিয়ামের দুই সহযোগী আল আমিন হাওলাদার ও ইমরান শেখের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রবিবার (১৫ জুন) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম মহিউদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে গত ১১ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার এসআই সুমন মিয়া তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির দিন ১৫ জুন ধার্য করেন।

এদিন আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী আব্বাস উদ্দিন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে গত ১১ জুন ব্যাংকের নিরাপত্তাপ্রহরী মো. সিয়াম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গত ৯ জুন রাতে রোহিতপুর বোর্ডিং মোড় এলাকার ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত আইএফআইসি ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র। চুরির ঘটনার পরপরই ঢাকা জেলা দক্ষিণ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এবং কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ৩ জনকে আটক করে। এ সময় আসামি সিয়ামের ভাড়া বাসা থেকে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আল আমিনের বাসা থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ইমরানের বাড়ি থেকে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত গ্রাইন্ডিং মেশিন, লোহার শাবল, চাকু ও হার্ডডিস্কসহ সিসিটিভির ডিভিআর ডিভাইসও জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করা হয়।

ঢাকা/এম/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৫ লাখ টাকা চুরির মামলায় নৈশপ্রহরীর ২ সহযোগী রিমান্ডে 
  • ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি: নৈশপ্রহরীর দুই সহযোগীর রিমান্ড