জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যশোরের দুই শহীদের স্বজনদের কাছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেলে যশোর সদর উপজেলার বলারামপুর গ্রামের শহীদ তারেক রহমান ও পাশ্ববর্তী শাখারিগাতি গ্রামের সিফাত ফেরদৌসের বাড়িতে গিয়ে ঈদ সামগ্রী তুলে দেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। এসময় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঈদ সমগ্রী উপহার পেয়ে শাখারিগাতি গ্রামের শহীদ সিফাত ফেরদৌসের মা শামসুর নাহার তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, শহীদদের পরিবার নানা সমস্যার মধ্যে আছে। তাদের সব সমস্যা পরবর্তীতে যাতে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয় তারেক রহমানের প্রতি সেই আবেদন জানান তিনি। আন্দোলনে যারা তার সন্তানকে পুড়িয়ে মেরেছে তাদের বিচার দাবি করেন শামসুর নাহার।

আরো পড়ুন:

দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে: তারেক রহমান

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, “জুলাই বিপ্লবে শহীদদের আত্মত্যাগের কথা কখনোই ভোলা যাবে না। তাদের এই আত্মত্যাগের কোনো প্রতিদান হয় না। আমরা তাদের এই আত্মত্যাগের কথা সম্মানের সঙ্গে সবসময় স্মরণ করি।”

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র ক রহম ন র

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্রিজে রাখা খুলি দুই মাস পর লাগানো হলো মামুনের মাথায়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষে গুরুতর আহত সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথার খুলি সফলভাবে প্রতিস্থাপন হয়েছে। গত শনিবার নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর মাথার খুলির অংশটি প্রতিস্থাপন করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় ভালো।

এদিকে একই ঘটনায় গুরুতর আহত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদের অবস্থাও আগের চেয়ে ভালো বলে জানা গেছে। গত দুই মাস ধরে তাঁরা পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ইমতিয়াজকে বর্তমানে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে।

গত ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত সোয়া ১২টা থেকে পরদিন ৩১ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, তখনকার প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফসহ অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হন। এ ছাড়া ১০ থেকে ১২ জন স্থানীয় বাসিন্দাও আহত হয়েছিলেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান মামুন ও ইমতিয়াজ। প্রথমে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় পার্কভিউ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাঁদের। খুলে রাখা হয় মামুনের মাথার খুলির অংশ। গত শনিবার মামুনের মাথার খুলির সেই অংশ প্রতিস্থাপন করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. ইসমাঈল হোসেন।

আরও পড়ুন‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মু. ইসমাঈল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অপারেশনের পর কিছু জটিলতা থাকে। তাই আমরা বিষয়টি সেভাবে জানাইনি। তবে অপারেশন সফল হয়েছে। দু-এক দিনের ভেতর তাঁদের ডিসচার্জ করা হবে। তখন আমরা তাঁদের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করব।’

আরও পড়ুন‘ভাইয়ের মাথার খুলি জোড়া লাগেনি, তাকে নিয়ে ফটোসেশন করছে’০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ