ঈদুল ফিতরের মাত্র কয়েকদিন বাকী। ঈদ মানেই নতুন জামাকাপড়ের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার। এ দিন বাড়িতে বাড়িতে মাংসের নানা পদ রান্না হয়। একটু ভিন্নতা আনতে উৎসবের এ দিনটিতে বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন আস্ত মুরগির রোস্ট।
উপকরণ: মাঝারি আকারের মুরগি ১টি, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুনবাটা ২ চা চামচ, পেঁয়াজবাটা ১ চা চামচ, গোল মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, লবঙ্গ ২/৩ টি, দারুচিনি ৪/৫ টি, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, আধা কাপ টমেটো সস, আধা কাপ পানি, লবণ পরিমাণ মতো, কাজু বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ চামচ, বাটার / ঘি ১ টেবিল চামচ, সয়া সস ১ টেবিল চামচ,তেজাপাতা ২ টি, বেরেস্তা ভাজা আধা কাপ, তেল পরিমাণ মতো
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে কাঁটা চামচ দিয়ে মুরগিটা অল্প করে কেচে নিন। এবার এতে টক দই, আধা চামচ আদা বাটা, আধা চামচ রসুন বাটা, সয়া সস এবং লবণ দিয়ে ভালো করে মেখে এক ঘণ্টা মেরিনেট করুন। এক ঘণ্টা পর মুরগিটা তেলে হালকা করে ভেজে একটি পাত্রে তুলে রাখুন। এবার ওই গরম তেলে তেজপাতা, লবঙ্গ ২/৩ টি, দারুচিনি ৪/৫ , কিছুক্ষণ ভেজে তাতে পেয়াজবাটা, বাকী আদা বাটা এবং রসুন বাটা দিয়ে একটু কষিয়ে পানি দিয়ে ঢেকে দিন। এরপর মরিচ বাটা, টমেটোর সস.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্রিজে রাখা খুলি দুই মাস পর লাগানো হলো মামুনের মাথায়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষে গুরুতর আহত সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথার খুলি সফলভাবে প্রতিস্থাপন হয়েছে। গত শনিবার নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর মাথার খুলির অংশটি প্রতিস্থাপন করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় ভালো।
এদিকে একই ঘটনায় গুরুতর আহত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদের অবস্থাও আগের চেয়ে ভালো বলে জানা গেছে। গত দুই মাস ধরে তাঁরা পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ইমতিয়াজকে বর্তমানে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে।
গত ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত সোয়া ১২টা থেকে পরদিন ৩১ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, তখনকার প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফসহ অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হন। এ ছাড়া ১০ থেকে ১২ জন স্থানীয় বাসিন্দাও আহত হয়েছিলেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান মামুন ও ইমতিয়াজ। প্রথমে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় পার্কভিউ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাঁদের। খুলে রাখা হয় মামুনের মাথার খুলির অংশ। গত শনিবার মামুনের মাথার খুলির সেই অংশ প্রতিস্থাপন করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. ইসমাঈল হোসেন।
আরও পড়ুন‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫মু. ইসমাঈল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অপারেশনের পর কিছু জটিলতা থাকে। তাই আমরা বিষয়টি সেভাবে জানাইনি। তবে অপারেশন সফল হয়েছে। দু-এক দিনের ভেতর তাঁদের ডিসচার্জ করা হবে। তখন আমরা তাঁদের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করব।’
আরও পড়ুন‘ভাইয়ের মাথার খুলি জোড়া লাগেনি, তাকে নিয়ে ফটোসেশন করছে’০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫