চন্দ্রিমা আর জিয়া নামের চক্কর, ১৫ বছরের অবহেলার পর এখন সংস্কার উদ্যানে
Published: 25th, March 2025 GMT
চন্দ্রিমা আর জিয়া নামের চক্করে ঘুরপাক খেয়েছে এই উদ্যান। বারবার নাম বদলালেও বদলায়নি উদ্যানের পরিবেশ। হয়নি সংস্কার ও উন্নয়ন। তবে সবশেষ নামবদলের পর গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে দেখা গেল, উদ্যানে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে দেবে যাওয়া মাটি পুনর্ভরাটের কাজ চলছে। শেওলা জমে থাকা কমপ্লেক্সকে ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে। উদ্যানটির আরও কিছু জায়গায় সংস্কার করছেন শ্রমিকেরা।
জিয়া উদ্যান জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাড়ে ১৫ বছর অবহেলা-অযত্নে ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উদ্যানটির নাম চন্দ্রিমা থেকে বদলে যেমন জিয়া উদ্যান হয়েছে, তেমনি গণপূর্ত অধিদপ্তরের সুনজরও পড়েছে।
জিয়া উদ্যানে নিয়মিত যাঁরা হাঁটাহাঁটি করতে যান, তাঁরা বলছেন, তাঁদের আশা, উদ্যানটি রমনা পার্কের মতো সাজানো-গোছানো, পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ হবে। সেখানে নগরবাসী সময় কাটাতে যেতে পারবেন। কোনো উৎপাতের মুখে পড়তে হবে না।
জিয়া উদ্যানের কাছেই মণিপুরিপাড়ায় বাস করেন মেসবাহ উদ্দিন। নিয়মিত তিনি জিয়া উদ্যানে হাঁটতে যান। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি কর্তৃপক্ষের উচিত উদ্যানটিকে সুষ্ঠু তদারকিতে নিয়ে আসা। রাজধানীতে এমন জায়গার খুব অভাব। দর্শনার্থীরা যাতে এখানে স্বচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করা জরুরি।’
জিয়া উদ্যানটি জাতীয় সংসদ ভবনের উত্তর পাশে। সংসদ ভবন এলাকায় খোলা জায়গা ও মাঠ থাকলেও তা সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত নয়, তবে সবাই যেতে পারেন জিয়া উদ্যানে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্স.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিন দিনে ইরানের ৭২০ সামরিক স্থাপনা ধ্বংস: ইসরায়েল
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তেহরানে অন্তত ৮০টি লক্ষ্যবস্তুতে রাতভর হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় ডজনখানেক ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে টানা তৃতীয় দিনে এ হামলা চালানো হলো। খবর বিবিসির
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর, সামরিক গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা বলে দাবি করা হয়েছে।
রয়টার্স এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল দুটি ‘দ্বৈত-ব্যবহারের’ জ্বালানি কেন্দ্র। ওই জ্বালানি কেন্দ্র সামরিক ও পারমাণবিক কাজে ব্যবহার করা হতো।
আইডিএফ আরও জানিয়েছে, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর অংশ হিসেবে তিন দিনের কম সময়ের মধ্যে তারা ইরানের ১৭০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ইরানের ৭২০টির মতো সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে।