জাতীয় নাগরিক পার্টির নাম নিয়ে ইসিতে আপত্তি
Published: 25th, March 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংক্ষিপ্ত নাম নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। বাংলাদেশ সিটিজেন পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শাহরিয়ার খান আবির ইসির সিনিয়র সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছেন।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া বাংলাদেশ সিটিজেন পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শাহরিয়ার খান আবিরে সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে। সম্প্রতি পত্রপত্রিকা, সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টির সংক্ষিপ্ত নাম নিয়ে বহু আলোচনা চলছে। সে কারণে বিষয়টি নিয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, সদ্য প্রতিষ্ঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির সংক্ষিপ্ত নাম হওয়া উচিত যেএনপি, কিন্তু দেওয়া হয়েছে এনসিপি যেটি সঠিক নয়। কারণ নাম (বিশেষ্য) যে ভাষায় লেখা হোক না কেন এর কোনো পরিবর্তন হয় না।
আরো পড়ুন:
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে: নাহিদ ইসলাম
আগামীর বাংলাদেশে মার্কা দেখে কেউ ভোট দেবে না: সারজিস
এতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নব গঠিত একটি রাজনৈতিক দল যা আগামীর বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস রাখি। ইতোমধ্যে এই তরুণ তুর্কিরা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়েছে। এমতা অবস্থায় যদি একটি দলের নামে অসংগতি থাকে তাহলে তা হবে দুঃখের ব্যাপার। কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থানের নামের ভাষাগত দিক থেকে কোনো পরিবর্তন হয় না তাই সে যে ভাষায় লেখা হোক না কেন!। এ কারণে জাতীয় নাগরিক পার্টির (Jatio Nagorik Party) সংক্ষিপ্ত নাম হওয়া উচিত ‘যেএনপি’ এবং এটি সঠিক! রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময় বিষয়টি অতীব গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য সবিনয় আবেদন জানাচ্ছি।
উপরোক্ত বিষয়টি বিবেচনাপূর্বক রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের সময় রাজনৈতিক দলের সংক্ষিপ্ত নাম যাতে সঠিক হয় তার ব্যবস্থা করতে মর্জি হয়।
ঢাকা/সুকান্ত/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম
জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’
তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’
তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’
ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’
সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’