বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনী ‘সামরিক ক্যু’র সম্ভাবনা নিয়ে ভারতীয় সাংবাদমাধ্যমের খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। খবরে প্রকাশিত তথ্য ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আইএসপিআর।

ভারতীয় সাংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে সম্প্রতি ‘প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জরুরি বৈঠক’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনীতে কোনো জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয়নি। যেটি অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেটি একটি নিয়মিত বৈঠক ছিল। কিন্তু নিয়মিত বৈঠককে ‘জরুরি’ হিসেবে বর্ণনা করে বিশ্বাসযোগ্য কোনো সূত্র বা প্রমাণ ছাড়াই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

ফলে খবরটিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানোর প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছেন তারা।

এর প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমটিকে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির সেবার অঙ্গীকারে অবিচল। গণতন্ত্র ও শান্তির নীতি সমুন্নত রাখার কাজে বাহিনীটি প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮

ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।

আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে: আইএসপিআর
  • রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদাল
  • সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮