ভারতের বিপক্ষে শিলংয়ে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে হামজা চৌধুরীর লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে। তবে শুরুর একাদশে নেই নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। 

ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচে প্রথমার্ধে কর্তৃত্ব করে খেলেছে বাংলাদেশ। গোল হওয়ার মতো তিনটি সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে প্রথম মিনিটেই গোলবার ফাঁকা পেয়েছিল সফরকারীরা। ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি শাহরিয়ার ইমন। তার শট জালের বাইরে চলে যায়। 

পরে একই রকম সুযোগ পেয়েছিলেন রাকিব। তিনিও গোলবার ফাঁকা পেয়েছিলেন। কিন্তু দুর্বল শটের কারণে তা গোল হওয়ার মতো ছিল না। এছাড়া মোরসালিনের ক্রসে হেড থেকে গোল করার দারুণ এক সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কাজে লাগাতে পারেনি সেটাও। 

ম্যাচের প্রথমার্ধে হামজার প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। ভারতের স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রীকে মার্কিং করে খেলেছেন তিনি। সুনীলকে কোন সুযোগই তৈরি করতে দেননি হামজা। এছাড়া মাঠে কোন ডুয়েল অর্থাৎ প্রতিপক্ষের ফুটবলারের সঙ্গে বলের লড়াইয়ে হারেননি প্রিমিয়ার লিগের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই মিডফিল্ডার। ম্যাচে প্রথমার্ধে একটি ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মণ।  

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের শুরুর একাদশ: গোলরক্ষক: মিতুল মার্মা (গোলরক্ষক),ডিফেন্ডার: তপু বর্মণ, তারিক কাজী, সাদ উদ্দিন, শাকিল তপু, মিডফিল্ডার, হামজা চৌধুরী, মোহাম্মদ হৃদয়, মজিবর জনি, ফরোয়ার্ড: রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিন, শাহরিয়ার ইমন।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রথম র ধ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ