Narayanganj Times:
2025-05-01@05:38:59 GMT

মোহাম্মদ আলীর দু:খ প্রকাশ

Published: 25th, March 2025 GMT

মোহাম্মদ আলীর দু:খ প্রকাশ

গত সোমবার জেলা পরিষদ আয়োজিত জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদ উপলক্ষে সম্মানী ও ঈদ সামগ্রী দেয়ার আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে সম্মানী দেয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার মো. আলী বক্তব্য শেষে জয়বাংলা বলে ফেলেন।

মো. আলীর মুখে জয়বাংলা শোনার পর মিডিয়া ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচীব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে গতকাল জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে সভা সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশে বিএনপির অনেকেই বক্তব্য রাখে।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে টিপু বলেন, আজ যে শিল্পকলা একাডেমীতে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠান হবে ঐ অনুষ্ঠানে মো.

আলী আসলে তাকে প্রতিরোধ করা হবে।

মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী অনুষ্ঠানে জয় বাংলা বলা ও সংবাদ প্রকাশ এবং টিপুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মো. আলী বলেন, আমি রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। কিশোর বয়সে জীবনের মায়া ত্যাগ করে ২৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জকে পাক হানাদারদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য প্রথমে পঞ্চবটীতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম।

সেদিনই আমার মৃত্যু হতে পারতো। রনাঙ্গনে যতগুলি অপারেশনে জয়ী হয়েছি, জয়ী হওয়ার পর পরই জয়বাংলা স্লোগানে ঐ এলাকা মুখরিত করে তুলেছিলাম। সাবেক সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করতে হবে, যেহেতু আমি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধাদের ও কমপ্লেক্স করার স্বার্থে সাবেক সরকারের দায়ীত্ববান লোকদের সাথে আমাকে চলতে হয়েছে।

তবে কেউ বলতে পারবে না, সাবেক সরকারের শাসনামলে কারো সাথে রাস্তায় নেমেছে কিংবা আমার জন্য জাতীয়তাবাদী দলের কোন ক্ষতি হয়েছে। সাবেক সরকারের দোসররা তাদের দলে নেওয়ার জন্য আমাকে অফার দিয়েছিল। যদি তাদের কথায় রাজী হতাম তাহলে আমার মিল ফ্যাক্টরী সবই থাকতো। একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও আমার হাতছাড়া হতো না।

বিএনপির রাজনীতির সাথে যারা জড়িত তারা বুকে হাত দিয়ে বলুক ৯০ সালের পর থেকে আমি কি তাদের সাথে ছিলাম না? দলের যেকোন কল্যানে বা দুঃসময়ে আমি কি তাদের পাশে ছিলাম না? আমার বয়স হয়েছে, দুইবার স্ট্রোক করেছি, সবকিছু মনে রেখে কথা বলতে পারি না।

এখন আমার পড়ন্ত বেলা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনের অজান্তে যেই কথাটা বলেছি, তা আমার অন্তরের কথা ছিলনা।  তারপরেও মনে করি কথাটা বলা আমার ঠিক হয়নি। আমার ঐ দিনের কথায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, তারজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ঐ দিনের কথার জন্য আমি নিজেই মর্মাহত।

ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য সকল জাতীয়তাবাদী শক্তি ও দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করছি।মো. আলী আরো বলেন, ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ একের পর এক হরতাল ও আন্দোলন করে যখন দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছিল তখন জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য আওয়ামী লীগের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষ করে জাতীয়তাবাদী দলের ডাকে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ আসন থেকে মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম।

সেদিন জাতীয়তাবাদী দল আপনারাই ছিলেন আমার শক্তি ও সাহস। আগামী দিনেও আমি আপনাদের সাথে থাকার অঙ্গীকার করছি এবং আপনারাও আমার পাশে থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করছি। 
 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স ব ক সরক র র ব এনপ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

কারখানার বর্জ্যে মরছে নদ

ডাইং কারখানার বর্জ্যে মরছে ব্রহ্মপুত্র নদ। প্রকাশ্যে এ দূষণ ঘটলেও দেখার কেউ নেই। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ভুক্তভোগীদের। পরিবেশ কর্মকর্তা চাইছেন সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও নরসিংদী সদর উপজেলায় অন্তত ৬০টি ডাইং কারখানা ব্রহ্মপুত্র দূষণের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। নদের তীরে অবস্থিত এসব কারখানায় এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) থাকলেও তারা বর্জ্য পরিশোধন না করেই প্রতিদিন নদে ফেলছে। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এ নদের সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষজন।
অভিযোগ রয়েছে, নদের তীরে অবস্থিত কারখানাগুলো ইটিপি রাখলেও তারা বর্জ্য পরিশোধন না করেই নদে ফেলছে। অনেক কারখানায় ইটিপি থাকলেও খরচ কমাতে বেশির ভাগ সময় তা বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া বেশকিছু কারখানার ইটিপি প্রয়োজনের তুলনায় ছোট হওয়ায় সঠিকভাবে বর্জ্য পরিশোধন করা সম্ভব হয় না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, নরসিংদী সদর উপজেলায় রয়েছে ছোট-বড় ৫০টি ডাইং কারখানা। আড়াইহাজারে স্পিনিং মিলসহ ডাইং কারখানা রয়েছে অন্তত ১০টি। নরসিংদীর ডাইং কারখানাগুলোর মধ্যে পাঁচদোনা এলাকার আবদুল্লাহ ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ, বাঘহাটা এলাকার ফাইভ অ্যান্ড ফাইভ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, সাজেদা ডাইং, আনোয়ার ডাইং, শতরূপা ডাইং, রুকু ডাইং, মেসার্স একতা ডাইং, কুড়েরপাড় এলাকার ব্রাদার্স টেক্সটাইল, ইভা ডাইং, ভগীরথপুর এলাকার এম এমকে ডাইং, নীলা ডাইং, এইচ এম ডাইং, মা সখিনা টেক্সটাইল, মুক্তাদিন ডাইং, পাঁচদোনা এলাকার তানিয়া ডাইং, সান ফ্লাওয়ার টেক্সটাইল প্রভৃতি।
আড়াইহাজারের কয়েকটি কারখানা হলো– ভাই ভাই স্পিনিং মিলস, ছাবেদ আলী স্পিনিং মিল, রফিকুল ডাইং, দিপু ডাইং ও হাজী হাবিবুর ডাইং।
আড়াইহাজার পৌরসভার চামুরকান্দি এলাকার বাসিন্দা মিয়াজউদ্দিন মিয়া বলেন, দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে নদটি। দেশীয় জাতের মাছের অভয়াশ্রম এ নদ থেকে মাছ হারিয়ে গেছে।
আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার ইসমাইল হোসেন জানান, রফিকুল ডাইংয়ের বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। এতে পানির রং কালচে হয়ে গেছে। একই অবস্থা অন্য কারখানাগুলোর। বর্জ্য নদে ফেলার বিষয়ে স্থানীয়রা কথা বলতে গিয়ে উল্টো কারখানা কর্তৃপক্ষের হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
রফিকুল ডাইংয়ের মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের ইটিপি নেই। ডাইংয়ের পানি তারা নির্দিষ্ট পানির ট্যাংকে রাখেন, সরাসরি নদে ফেলেন না। ট্যাংকে জমানো পানি কোথায় ফেলেন জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
নরসিংদী সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের গনেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব হাসান শুভর ভাষ্য, কুড়েরপাড় এলাকার ডাইং কারখানাগুলোর রং মেশানো বর্জ্য পরিশোধন না করে ব্রহ্মপুত্রে ফেলায় নদটি এখন মৃতপ্রায়। দূষণের কারণে দুর্গন্ধে এর পারে দাঁড়ানো যায় না। স্থানীয়রা অনেকবার প্রতিবাদ করেও প্রতিকার পাননি বলে জানান তিনি।
গত ১৫ এপ্রিল শিলমান্দী ইউনিয়নের কুড়েরপাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইভা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড নামে একটি কারখানা থেকে বর্জ্য এসে পড়ছে নদের পানিতে। ভিডিও করতে দেখে কারখানা কর্তৃপক্ষ বর্জ্য ফেলা বন্ধ করে দেয়।
ইভা ডাইংয়ের ইটিপি ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে তারা প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছেন। অনেক কারখানা সরাসরি নদে বর্জ্য ফেললেও তারা নদ দূষণ করেন না। 
একই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফাতেমা ডাইংসহ ব্রহ্মপুত্রের তীরে গড়ে ওঠা কারখানাগুলো থেকেও নদে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে এসব কারখানার কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
নরসিংদী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপসহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান জানান, নদে বর্জ্য ফেলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক বাবু জানান, ব্রহ্মপুত্রে নদে সরাসরি বর্জ্য ফেলছে ডাইংসহ যেসব কারখানা সেসবের অধিকাংশই নরসিংদী জেলার অন্তর্গত। তাই নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে নদ দূষণমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
আড়াইহাজারের ইউএনও সাজ্জাত হোসেন বলেন, কখনও কখনও কিছু কারখানা বর্জ্য পরিশোধন না করেই নদে ছেড়ে দেয়। কোন কারখানা নদ দূষণ করছে, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশবাদী সংগঠন তা জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস চালু হচ্ছে ১০ মাস পর
  • অটোরিকশার ধাক্কায় ছিটকে বাসের নিচে, দুই বন্ধু নিহত
  • আজমির ওসমান বাহিনীর অন্যতম ক্যাডার মাসুম প্রকাশ্যে. আতঙ্ক
  • মে দিবসের সমাবেশকে সফল করতে মহানগর বিএনপির মতবিনিময় সভা 
  • নারায়ণগঞ্জে বালক (অনূর্ধ্ব-১৫) ফুটবল প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
  • নারায়ণগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে তরুণের মৃত্যু
  • নারায়ণগঞ্জের কদম রসুল সেতুর সংযোগ সড়কের প্রবেশমুখ পুনর্নির্ধারণের দাবিতে স্মারকলিপি
  • জেলা প্রশাসককে ২৪’র শহীদদের স্মারক দিল জামায়াত
  • কমিউনিষ্ট পার্টির হাফিজের বিরুদ্ধে ইসমাইলের সংবাদ সম্মেলন
  • কারখানার বর্জ্যে মরছে নদ