মানিকগঞ্জের শিবালয়ে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় হৃদয় হোসেন (২৫) নামে এক  যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। 

গ্রেপ্তার হৃদয় আরুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালজানা এলাকার আজিজ খানের ছেলে। তিনি পেশায় অটোবাইক চালক।

নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে তাঁকে জাতীয় মানসিক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার সময় হৃদয় রাস্তাঘাটে ওই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন ও কুপ্রস্তাব দিতেন। ১৩ মার্চ রাতে ওই স্কুলছাত্রী ঘরের বাহিরে টয়লেটে যায়। এ সময় হৃদয় স্কুলছাত্রীকে চেতনানাশক ওষুধ ছিটিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যান। এর পর সাভারের নবীনগর এলাকার একটি ভাড়াবাসায় স্কুলছাত্রীকে আটকে রাখেন এবং টানা ছয়দিন তাকে ধর্ষণ করেন। পর্যাপ্ত খাবারের অভাব ও ধর্ষণের ফলে এক পর্যায়ে স্কুলছাত্রীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। ১৯ মার্চে গোপনে সংকটাপন্ন অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে চলে আসেন হৃদয়।

স্কুলছাত্রীর ভাই জানান, হৃদয় তাঁর বোনকে বাড়িতে দিয়ে যাওয়ার পর প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর শিবালয় থেকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু সদর হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসক তাকে জাতীয় মানসিক হাসপাতালে রেফার করেন। এ ঘটনায় শিবালয় থানা পুলিশকে জানানো হলে তারা আদালতে মামলা করতে পরামর্শ দেন। পরে ২৩ মার্চ মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে মিস পিটিশন মামলা করা হয়।  

এ বিষয়ে শিবালয় থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, আদালতে মামলার পর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।

তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ