বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা ইবি শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
Published: 26th, March 2025 GMT
কুমিল্লায় একটি সালিশ বৈঠকে হামলায় আহত হাবিবুর রহমান নামে এক বৃদ্ধ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত হাবিবুর রহমান (৬০) লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শংকুরপাড় দিঘীর নৈশপ্রহরী ছিলেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় মামলা করেছে তাঁর পরিবার।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাতিলোটা গ্রামের হাবিবুর রহমানের সঙ্গে প্রতিবেশী আবদুল জলিলের পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গত সোমবার বিকেলে আবদুল জলিলের উঠানে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে তর্কের জেরে আবদুল জলিলের ছেলে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন লাঠি দিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনকে পেটাতে শুরু করেন। এতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন হাবিবুর রহমান। তাঁকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহতের মেয়ে মায়া আক্তার বলেন, ‘জলিলের পরিবার আমাদের জমি দলিল করে নিয়ে গেছে। সেই জমি ফেরত আনতে সালিশ বৈঠক বসেছিল। শত শত মানুষের সামনে আমার বাবাকে আবদুল্লাহ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি তার বিচার চাই।’
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, এ ঘটনায় ৬ জনের নামে হত্যা মামলা করেছেন নিহতের ছেলে শাকিল হোসাইন। মামলার প্রধান আসামি আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ ব ব র রহম ন আবদ ল ল হ
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।