কুমিল্লায় একটি সালিশ বৈঠকে হামলায় আহত হাবিবুর রহমান নামে এক বৃদ্ধ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

নিহত হাবিবুর রহমান (৬০) লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শংকুরপাড় দিঘীর নৈশপ্রহরী ছিলেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় মামলা করেছে তাঁর পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাতিলোটা গ্রামের হাবিবুর রহমানের সঙ্গে প্রতিবেশী আবদুল জলিলের পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গত সোমবার বিকেলে আবদুল জলিলের উঠানে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে তর্কের জেরে আবদুল জলিলের ছেলে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন লাঠি দিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনকে পেটাতে শুরু করেন। এতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন হাবিবুর রহমান। তাঁকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহতের মেয়ে মায়া আক্তার বলেন, ‘জলিলের পরিবার আমাদের জমি দলিল করে নিয়ে গেছে। সেই জমি ফেরত আনতে সালিশ বৈঠক বসেছিল। শত শত মানুষের সামনে আমার বাবাকে আবদুল্লাহ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি তার বিচার চাই।’

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, এ ঘটনায় ৬ জনের নামে হত্যা মামলা করেছেন নিহতের ছেলে শাকিল হোসাইন। মামলার প্রধান আসামি আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ ব ব র রহম ন আবদ ল ল হ

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ