ঈদের আগে হেয়ার স্পা করার জন্য পার্লারে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা লাগতে পারে। ঝলমলে চুল পেতে ঘরোয়া ক্রিমে নিজেই হেয়ার স্পা করে নিতে পারেন। নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন স্পা ক্রিম। এই আর্টিকেলে দুই ধরনের স্পা ক্রিম বানানোর উপায় জানিয়ে দিচ্ছি। 

নারকেলের দুধ:  এতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড। যাদের চুল ভীষণ রুক্ষ এবং যারা বার বার চুল সোজা করার যন্ত্র ব্যবহার করেন তাদের জন্য এই ক্রিমটি বিশেষ ভাবে উপযোগী। মাথার ত্বকের গভীরে গিয়ে চুল আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে নারকেলের দুধ।

ক্রিম বানানোর উপায়: একটি পাত্রে নারকেলের দুধ নিয়ে নিন। এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি কম আঁচে নেড়ে ঘন ক্রিমের মতো বানিয়ে নিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল। এবার দিন ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল। সব উপকরণ খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিলেই ক্রিমের মতো হয়ে যাবে।

আরো পড়ুন:

হাতে মেহেদি লাগানোর আগে-পরে করণীয়

ঈদের আগে বাড়িতেই করে নিন পেডিকিউর

অ্যালোভেরা ক্রিম: অ্যালোভেরা জেল দিয়ে স্পা ক্রিম বানানোর জন্য ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে ২টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে ক্যাপসুলের তরলটি যোগ করুন। এবার ১ টেবিল চামচ মধু। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ক্রিম।

কীভাবে স্পা ক্রিম ব্যবহার করবেন: প্রথমে চুল শ্যাম্পু করে নিন। তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছে ফেলুন। চুল হালকা ভেজা থাকা অবস্থায় ঘরে বানানো নারকেলের ক্রিম বা অ্যালোভেরা ক্রিম মাথার ত্বক থেকে প্রতিটি চুলে হাত অথবা ব্রাশের সাহায্যে লাগিয়ে নিন। এরপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে, সেটি নিংড়ে নিয়ে পানির ভাপ চুলে দিতে পারেন। তারপর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের গুদামে ইতোমধ্যেই এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো শুরু হয়েছে।

সোমবার বিকেলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্বাচন ভবনের বেসমেন্টে অবস্থিত ইসির গুদামে নির্বাচনী সরঞ্জাম দেখতে যান। এ সময় তারা সংগৃহীত ভোটগ্রহণের বিভিন্ন সরঞ্জাম পরীক্ষা করে দেখেন।

এসব নির্বাচনী সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ব্যালট বাক্স, লক, ঢাকনা, গানি ব্যাগ, সিল, বিভিন্ন ধরনের ফরম, প্যাকেট ইত্যাদি।

ইসি ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনী দ্রব্য, ফরম, প্যাকেট বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।

নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বাসসকে বলেন, ‘আজ বার্ষিক দ্রব্য সংগ্রহের পরিকল্পনা সংক্রান্ত মিটিং করেছি। ইতিমধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম আসা শুরু হয়েছে।’

ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বাসসকে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা কোনো কোনো নির্বাচনী উপকরণ প্রায় অর্ধেক পেয়েছি। আবার কোনো কোনো উপকরণ এখনো আসেনি। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী দ্রব্য সামগ্রী পেয়ে যাব।’

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, বর্তমানে দেশের ১০টি অঞ্চলের আওতায় ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। এবার গড়ে প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র করার ভিত্তিতে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সব মিলিয়ে ভোটকক্ষ হবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি। আগামী ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের বিষয়ে সম্প্রতি ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ পর্যন্ত ব্রাস সিল ও সিলগালা বাদে অন্যান্য উপকরণগুলো আমরা পাচ্ছি। সময়সীমা দেওয়া আছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উপকরণগুলো পাচ্ছি। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সকল দ্রব্য পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি