দা হাতে মিমি, কী বার্তা দিল ‘ডাইনি’
Published: 26th, March 2025 GMT
আমাদের পরিচিত পরিবেশের বাইরেও কিছু গল্প থাকে। যা খুব নির্মম, মধ্যযুগীয় বর্বরতায় পূর্ণ। দেখার পরও বিশ্বাস হতে চায় না, এমন কিছু এখনো ঘটতে পারে এই সমাজে। তবে এখনো তা ঘটে। আর সে রকম এক অবিশ্বাস্য ঘটনা এবার পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন নির্ঝর মিত্র। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইতে ১৪ মার্চ মুক্তি পেয়েছে ছয় পর্বের সিরিজ ‘ডাইনি’। সেখানে তিনি তুলে ধরেছেন এমন এক গল্প, যা দেখে অবাক তো হবেনই, আবার চোখও ফেরাতে পারবেন না পর্দা থেকে।
দুই বোন, লতা আর পাতা। লতা অবশ্য পাতার মায়ের পেটের বোন নয়; কিন্তু তারা বড় হয়েছে আপন বোনের মতোই। পাতা স্বাধীনচেতা, দেশের বাইরে পড়তে যেতে চায়; কিন্তু বাবা মানেন না। একসময় ঘর থেকে পালিয়ে বিয়ে করে লন্ডনে চলে যান পাতা। পেছনে থেকে যায় তার ছোট বোন লতা।
একনজরেওয়েব সিরিজ: ‘ডাইনি’
পর্ব: ছয়
জনরা: ড্রামা, সারভাইভাল থ্রিলার
স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম: হইচই
পরিচালক: নির্ঝর মিত্র
অভিনয়: মিমি চক্রবর্তী, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ দাস, সুজিত কুমার বর্মণ, সুদীপ মুখার্জি
অনেক দিন পর দেশে ফিরে পাতা জানতে পারে বাবা মারা যাওয়ার আগে দুই বোনকে সম্পত্তি ভাগ করে দিয়েছেন। তবে সে সম্পত্তি পেতে গেলে দুই বোনকে একসঙ্গে উপস্থিত থাকতে হবে। পাতা ঘর থেকে পালানোর পর আর যোগাযোগ রাখেনি পরিবারের সঙ্গে। জানে না কোথায় আছে তার ছোট বোন লতা। তাই অনেকটা নিজের স্বার্থের জন্যই ছোট বোনকে খুঁজতে বের হয় সে। খুঁজতে গিয়ে সে পৌঁছায় এক ডুয়ার্সের প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামে। যেখানে মানুষ দেবতাদের মানে না। তবে বিশ্বাস করে ভূতে, ডাইনিতে। আর সেই ফায়দা নিতে পিছপা হয় না মানুষরূপী কিছু পিশাচ। ক্ষমতা ব্যবহার করে তারা যা খুশি তা–ই করে যায়। আর কেউ প্রতিবাদ করলে তার জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ দুর্যোগ।
‘ডাইনি’ সিরিজে মিমি। হইচই.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের যুদ্ধক্ষমতা সীমিত করতে চান মার্কিন সিনেটর
এক মার্কিন ডেমোক্র্যাট সিনেটর আজ সোমবার একটি আইন প্রস্তাব করেছেন, যাতে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে না পারেন। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
ভার্জিনিয়ার সিনেটর টিম কেইন দীর্ঘদিন ধরেই হোয়াইট হাউসের কাছ থেকে যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা আবার কংগ্রেসের হাতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে আসছেন।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, ২০২০ সালে, সিনেটর কেইন ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনায় ট্রাম্পের ক্ষমতা সীমিত করার জন্য একই ধরনের একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। সেই প্রস্তাব সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ—উভয় কক্ষেই পাস হয় এবং কিছু রিপাবলিকান সদস্যের সমর্থনও পেয়েছিল।
তবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভেটো ঠেকানোর মতো প্রয়োজনীয় ভোট পাওয়া যায়নি বলে সেটি কার্যকর হয়নি।
আরও পড়ুনআরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন১৯ ঘণ্টা আগেকেইন বলেছেন, তাঁর সর্বশেষ যুদ্ধক্ষমতাসম্পর্কিত প্রস্তাবটি এ বিষয় স্পষ্টভাবে তুলে ধরে যে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী যুদ্ধ ঘোষণা করার একমাত্র ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে, প্রেসিডেন্টের হাতে নয়। তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো ধরনের শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অবশ্যই যুদ্ধ ঘোষণা বা সামরিক শক্তি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট অনুমোদন থাকতে হবে।
এক বিবৃতিতে সিনেটর কেইন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করা উপযুক্ত নয়, যদি না সেই যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য একেবারেই অপরিহার্য হয়ে ওঠে। আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রকে আরেকটি অনন্তকাল চলা সংঘাতে জড়িয়ে ফেলতে পারে।’
মার্কিন আইনে যুদ্ধক্ষমতাসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো ‘প্রিভিলেজড’ হিসেবে বিবেচিত হয়, অর্থাৎ সিনেট বাধ্য থাকবে বিষয়টি দ্রুত আলোচনায় আনতে এবং ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে।
গত শুক্রবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ইরানে হামলা চালায়, যার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ধ্বংস করে দেওয়া। অপর দিকে, ইরান, যাদের দাবি, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে, তারা ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে এর জবাব দেয়।
উভয় দেশই তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে। ফলে বেসামরিক নাগরিকেরা নিহত ও আহত হচ্ছেন। এতে কানাডায় চলমান বিশ্বনেতাদের বৈঠকে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে যে এই দুই পুরোনো শত্রুর মধ্যে চলমান সবচেয়ে বড় লড়াই বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে।
ট্রাম্প একদিকে ইসরায়েলের হামলাকে প্রশংসা করেছেন, অন্যদিকে ইরানের সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র এ হামলায় অংশ নিয়েছে। তবে তিনি তেহরানকে সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুতে প্রতিশোধের পরিধি বাড়ানো উচিত হবে না।
গতকাল রোববার কানাডায় সম্মেলনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি পরিস্থিতি শান্ত করতে কী করছেন? তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আশা করি একটা সমঝোতা হবে। আমার মনে হয় এখন সমঝোতার সময় এসেছে। তবে কখনো কখনো ওদের নিজের মধ্যে লড়ে নিতে হয়।’
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে ‘নো কিংস’ ব্যানারে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ১৫ জুন ২০২৫