হামজায় মুগ্ধ বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলাররা
Published: 26th, March 2025 GMT
লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচেই নিজেকে নিংড়ে দিয়েছেন হামজা চৌধুরী। পুরো ৯০ মিনিট তাঁকে কখনো দেখা গেছে মিডফিল্ড জেনারেলের ভূমিকায়, আবার কখনো রক্ষণভাগের অতন্দ্রপ্রহরী হিসেবে। প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকানো, নিজ দলের গোলের সুযোগ তৈরি, কী না করেছেন ইংলিশ লিগে খেলা এই ফুটবলার।
এককথায় গতকাল এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পুরোটা সময় রাজত্ব করেছেন হামজা। তাঁর এমন নৈপুণ্যে মুগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড়েরাও। তাঁদের চোখে ‘এ+’ পারফরম্যান্সই ছিল হামজার।
আরও পড়ুনসত্যি কি সৌদি আরবে এশিয়ান কাপ খেলার সামর্থ্য রাখেন হামজারা২ ঘণ্টা আগেসাবেক অধিনায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য তো বলেই দিলেন, হামজা মাঠে থাকাতেই বাংলাদেশ দলের চেহারা পাল্টে গেছে। প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকাতে হামজার বুদ্ধিদীপ্ত রণকৌশলের প্রশংসা করে বিপ্লব আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হামজা থাকাতে দলের যে ডিফেন্ডিং শেড, সেটা পুরোপুরি ঠিক ছিল। কারণ, সে নেতৃত্ব দিয়েছে। তার উপস্থিতি বাংলাদেশ দলের চেহারাই পুরোপুরি বদলে দেয়। খেলোয়াড়দের প্রেরণা, নেতৃত্ব, একটা দলে এসব দরকার। হামজা কখনো মিডফিল্ডে গিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে, কখনো আবার ডিফেন্সে নেতৃত্ব দিয়েছে। আসলে বাংলাদেশ দলে তার মতো একজন নেতার দরকার ছিল। গত ম্যাচে সেই অভাবটাই যেন সে পূরণ করেছে।’
রক্ষণ থেকে আক্রমণ—সব জায়গাতেই ছিলেন হামজা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’