লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচেই নিজেকে নিংড়ে দিয়েছেন হামজা চৌধুরী। পুরো ৯০ মিনিট তাঁকে কখনো দেখা গেছে মিডফিল্ড জেনারেলের ভূমিকায়, আবার কখনো রক্ষণভাগের অতন্দ্রপ্রহরী হিসেবে। প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকানো, নিজ দলের গোলের সুযোগ তৈরি, কী না করেছেন ইংলিশ লিগে খেলা এই ফুটবলার।

এককথায় গতকাল এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পুরোটা সময় রাজত্ব করেছেন হামজা। তাঁর এমন নৈপুণ্যে মুগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড়েরাও। তাঁদের চোখে ‘এ‍+’ পারফরম্যান্সই ছিল হামজার।

আরও পড়ুনসত্যি কি সৌদি আরবে এশিয়ান কাপ খেলার সামর্থ্য রাখেন হামজারা২ ঘণ্টা আগে

সাবেক অধিনায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য তো বলেই দিলেন, হামজা মাঠে থাকাতেই বাংলাদেশ দলের চেহারা পাল্টে গেছে। প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকাতে হামজার বুদ্ধিদীপ্ত রণকৌশলের প্রশংসা করে বিপ্লব আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হামজা থাকাতে দলের যে ডিফেন্ডিং শেড, সেটা পুরোপুরি ঠিক ছিল। কারণ, সে নেতৃত্ব দিয়েছে। তার উপস্থিতি বাংলাদেশ দলের চেহারাই পুরোপুরি বদলে দেয়। খেলোয়াড়দের প্রেরণা, নেতৃত্ব, একটা দলে এসব দরকার। হামজা কখনো মিডফিল্ডে গিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে, কখনো আবার ডিফেন্সে নেতৃত্ব দিয়েছে। আসলে বাংলাদেশ দলে তার মতো একজন নেতার দরকার ছিল। গত ম্যাচে সেই অভাবটাই যেন সে পূরণ করেছে।’

রক্ষণ থেকে আক্রমণ—সব জায়গাতেই ছিলেন হামজা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিমন্সের চোখে মিরাজের অসুস্থতা ‘মধুর সমস্যা’

গলের মেঘলা আকাশ আর টানা বৃষ্টির মাঝে বাংলাদেশ টেস্ট দলের প্রস্তুতি শুরু হলো রোববার। শুরুর দিনেই একটি দুশ্চিন্তা—অসুস্থতার কারণে অনুশীলনে ছিলেন না ওয়ানডে অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের চোখে এটি আবার ‘মধুর সমস্যা’।

বাংলাদেশ কোচের মতে, মিরাজের সমস্যা সুযোগ করে দেবে অন্য কারও। তবে মিরাজও যে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন, সেটিও জানিয়েছেন সিমন্স। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন মিরাজের সর্বশেষ অবস্থা, ‘গত দুই দিনে সে অনেকটাই ভালো আছে। আমরা দেখব সন্ধ্যায় ওষুধের পর সে কেমন থাকে। আশা করি, কাল অনুশীলন করতে পারবে এবং খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবে।’

সিমন্স যোগ করেছেন, ‘এটা (মিরাজের অসুস্থতা) নিশ্চয়ই চিন্তার। তবে একজনের সমস্যা অন্যজনের জন্য সুযোগ এনে দেয়। দলের সবাই চায় মিরাজ সুস্থ হয়ে উঠুক, কিন্তু তারা এ–ও জানে, যদি মিরাজ না-ও খেলতে পারে, তাহলে অন্য কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। এটা সমস্যা, তবে সমস্যাটা মধুর।’

মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবেমেহেদী হাসান মিরাজ

এদিন অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে নিয়েও কথা বলেন সিমন্স। ২০১৩ সালে গলে ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিকের কাছে বড় কিছু প্রত্যাশা করছেন না কোচ। তাহলে কী চাওয়া সিমন্সের? বাংলাদেশ কোচ বললেন, ‘আমি চাই সে যেন খেলাটা উপভোগ করে। ওই ইনিংস যেমন সে আনন্দ নিয়ে খেলেছিল, এবারও যেন সেটাই করে, তা-ই চাই। মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবে।’

সম্প্রতি ওয়ানডে অধিনায়কত্বে হঠাৎ পরিবর্তন এনে নাজমুল হোসেনের বদলে মিরাজকে দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। সিমন্স মনে করেন, টেস্টে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নাজমুলের ওপর পড়বে না, ‘আমি একেবারেই মনে করি না যে এটি ওকে প্রভাবিত করবে। মাঠে নামলে নাজমুল শুধু ক্রিকেট নিয়েই ভাবে, বাইরের বিষয় আমরা দেখি। তাই এটা ওর পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে না।’

বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ