টমটমে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল তাবলিগ জামাতের দুই সদস্যের
Published: 26th, March 2025 GMT
হবিগঞ্জের বাহুবলে ট্রাকের ধাক্কায় তাবলিগ জামাতের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আদিত্যপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার আলীরপাড়া গ্রামের আহম্মেদ আলীর ছেলে আব্দুল ওয়াহিদ (৭৫) ও সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে মো.
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাহুবল মডেল থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিলেটগামী একটি ট্রাক টমটমে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে টমটম দুমড়ে-মুচড়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় মহাসড়কে যান চলাচল আধাঘণ্টা বন্ধ হয়ে যায়। আর আহত টাঙ্গাইল জেলার আল-মামুন (৬৫) ও টমটমচালক উপজেলার মানিকা বাজার এলাকার বাচ্চু মিয়াকে (৩০) উদ্ধার করে বাহুবল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান স্থানীয়রা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত দ ই ত বল গ জ ম ত উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব