দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। এর আগে অডিও ও প্লেব্যাকে তাঁকে দেখা গেলেও সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে গানের খাতা খুলেছেন তিনি। আসছে ঈদে নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি ‘হাউ সুইট’ ওয়েব ফিল্মেও রয়েছে তাঁর গান। ‘মায়া মায়া’ গানটির সুবাদে বালামের সঙ্গে ১৫ বছর পর জুটি হলেন এই শিল্পী। নতুন গানসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। তার
ঈদের আপনার কয়টি গান আসছে?
সিনেমা-ওটিটি মিলে তিনটির মত গান আসছে। এর মধ্যে কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ‘হাউ সুইট’ ওয়েব ফিল্মে একটি গান এরই মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। এখানে আমার সঙ্গে গেয়েছেন বালম। গানটি প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এছাড়া শরাফ আহমেদ জীবন পরিচালিত ‘চক্কর’ সিনেমায় একটি গান করেছি। আর সংগীতশিল্পী মিলনের সঙ্গে ‘ঈদ এলো রে’ শিরোনামে একটি গান গতকাল মুক্তি পেয়েছে।
কত বছর পর বালামের সঙ্গে গান.
..
অনেক বছর। কত বছর ঠিক সেটা জানি না। তবে ১৫ বছর তো হবেই। মাঝে হেপাটাইটিস ‘এ’ নিয়ে আমরা একটা সচেতনতামূলক কাজ করেছে। তবে সেটা গান না। কিন্তু বহু বছর পর তাঁর সঙ্গে দারুণ একটা গান হল। দর্শকও গানটা ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।
কোন চিন্তা থেকে বালামের এতদিন পর একসঙ্গে হলেন?
এটা আসলে আমার আর বালামের চিন্তা ভাবনা না। নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির কাজের সুবাদে আমরা এক হয়েছি। তিনিই আমাদের এক করেছেন। তাঁর ‘হাউ সুইস’ ওয়েব ফিল্মে আমাদের একটি গান আছে, যা গতকাল মুক্তি পেয়েছে।
আপনি তো সাধারণত ছোটপর্দার জন্য গান করেন না।
হ্যাঁ, করি না। এর আগে ভিকি জায়েদের ‘নীল সুখ’ নামের একটি ওয়েব ফিল্মে গান করেছি। এরপর আর কাজ করতে চাইনি। কিন্তু হঠাৎ করেই একজন ফোন করে কাজল আরেফিন অমিকে ধরিয়ে দিল। তাঁর কথা শুনেই রাজি হয়ে গেছি। কারণ, অমি আমার পছন্দের একজন পরিচালক। আমি তাঁর সব কাজ দেখি। তাঁর কাজগুলোর মধ্যে পিওর বিনোদন পাওয়া যায়, যা পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখার মত। তাই রাজি হয়ে গেছি।
গানের মডেল হিসেবে তাহলে অপূর্ব-ফারিণ কী বাড়তি পাওয়া?
বলা যেতে পারে। যখন এই গানটি করা হয় তখন আমি জানতাম না এই গানের মডেল কে বা কারা হবেন। যখন অভিনেতা অপূর্বর কথা শুনলাম তখন আরও আনন্দ গেলেছে। কারণ, এই মানুষটাকে আমি অনেক পছন্দ করি। আমরা একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করলেও আমাদের কখনো দেখা হয়নি। সঙ্গে আমাদের এই সময়ের অভিনেত্রী ফারিণ তো আছেই। সব মিলিয়ে গানের ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে।
নতুন শিল্পীদের সঙ্গে গান...
অনেকে বলেন, উনি (আমি) তো টাকা পেলেই যে কারো সঙ্গে গানটা গেয়ে দেন। আমার কথা হল, আমি তো একদিন নতুন ছিলাম। আমার সঙ্গে কি হাবিব ওয়াহিদ কাজ করেন নি? আমি যদি ভাবি এর সঙ্গে, ওর সঙ্গে গান গাইবো না তাহলে কী হবে? তাঁরা তো আমাকে সন্মনী দিচ্ছেন। সুতরাং আমার তো সবার সঙ্গেই গান গাওয়া উচিত।
কিছুদিন আগে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে আপনার একটি ছবি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হল...
এ বিষয় নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। কারণ, আমার বক্তব্য আমি ওখানি দিয়ে দিয়েছি। আমি যদি এটা নিয়ে কথা বলি তাহলে যারা আমাকে গালি দিচ্ছে তাঁরা ধরে নেবে তাদেরকে আমি অনেক গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। আমি চাই না তাদের আমি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে।
এবার ঈদ কোথায় করছেন?
ঈদ ঢাকাতেই করছি। আমার মা-বাবা বেঁচে নেই। ঈদ আমেজ কিংবা যেকোনো উৎসব মা-বাবাকে ছাড়া করা খুব কষ্টের। যার বাবা-মা নেই এটা তাঁরাই বোঝেন। তবে এখন সন্তানরাই আমার সব। সন্তান ও পরিবার নিয়েই আমার ঈদ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি ঘিরে উত্তেজনা এখন চূড়ান্তে। ২-১ ব্যবধানে সিরিজে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও পঞ্চম ও শেষ টেস্টটি একটি পরিণতির লড়াই হিসেবে সমাসন্ন। তবে ঠিক এই সময়েই বড় দুঃসংবাদ এসে আঘাত হেনেছে ইংলিশ ড্রেসিংরুমে। ইনজুরিতে পড়ে সিরিজ নির্ধারণী ওভাল টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন অধিনায়ক বেন স্টোকস।
বুধবার (৩০ জুলাই) ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, ওভালে মাঠে নামা হচ্ছে না স্টোকসের। ম্যানচেস্টারে চতুর্থ টেস্টে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি। ব্যাটে-বলে সমান পারদর্শী স্টোকস ছিলেন দলের ভারসাম্য ধরে রাখার অন্যতম স্তম্ভ। তার অনুপস্থিতি তাই শুধু একজন খেলোয়াড়কে হারানো নয়, বরং একটি জয়ের প্রত্যয়ের বড় চ্যাপ্টারও হারানো।
এই ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব সামলাবেন ওলি পোপ। যিনি প্রথমবারের মতো সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় দলের।
আরো পড়ুন:
শেষ ম্যাচের আগে ভারতের শিবিরে ধাক্কা, বিশ্রামে বুমরাহ
ওভাল টেস্টের ইংল্যান্ড দল ঘোষণা, ওভারটনের প্রত্যাবর্তন
স্টোকস ছাড়াও ওভাল টেস্টে দেখা যাবে না জোফরা আর্চার, ব্রাইডন কার্স ও লিয়াম ডসনকে। চোট ও ফিটনেস ইস্যুর কারণে তারা বাদ পড়েছেন স্কোয়াড থেকে।
অবশ্য একাদশে ফিরেছেন দুই পরিচিত মুখ জশ টাঙ ও জেমি ওভারটন। বিশেষ নজর কেড়েছেন গাস অ্যাটকিনসন। যিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মে মাসে খেলার পর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ছিলেন মাঠের বাইরে। সারে কাউন্টির হয়ে ফের মাঠে ফিরে জায়গা পেয়েছেন জাতীয় দলে। ইংল্যান্ডের পেস বিভাগে তার উপস্থিতি বাড়াবে গতি ও ধার।
চলতি সিরিজে ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন বেন স্টোকস। চার ম্যাচে তার ঝুলিতে ১৭ উইকেট। ম্যানচেস্টার টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার ও ব্যাটে সেঞ্চুরি করে একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়েছিলেন। লর্ডসেও দুই ইনিংস মিলিয়ে রান করেছেন ৭৭, নিয়েছেন আরও পাঁচ উইকেট।
তাই ইংলিশ শিবির শুধু একজন ব্যাটার বা একজন বোলার হারায়নি, তারা হারিয়েছে একজন পূর্ণাঙ্গ ম্যাচ উইনারকে। স্টোকসের মতো একজন অলরাউন্ডার যিনি প্রয়োজনের সময় ছায়ার মতো আক্রমণে নেতৃত্ব দেন এবং ব্যাট হাতে গড়েন ম্যাচের ভিত, তার অভাব যে দলকে নাড়া দেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ:
জ্যাক ক্রাউলি, বেন ডাকেট, ওলি পোপ (অধিনায়ক), জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জ্যাকব বেথেল, জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), ক্রিস ওকস, গাস অ্যাটকিনসন, জেমি ওভারটন ও জশ টাঙ।
ঢাকা/আমিনুল