ইউটিউবে মামুন ও আশার মিউজিক ভিডিও ‘ঈদ এলো ঈদ’
Published: 26th, March 2025 GMT
দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই আনন্দ। সেই ঈদের আনন্দ আরো বাড়াতে নতুন মিউজিক ভিডিও নিয়ে হাজির হয়েছে এফকে মিউজিক ভিডিও স্টেশন। কবি ও সাংবাদিক রফিক মুয়াজ্জিনের লেখা ‘ঈদ এলো ঈদ’ শিরোনামের এ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন উদীয়মান কণ্ঠশিল্পী মামুন মন্ডল ও আফরোজ জাহান আশা।
গানটি সুর করেছেন ক্লোজআপ ওয়ান খ্যাত তারকা কণ্ঠশিল্পী সাজু আহমেদ সরকার। সংগীতায়োজন করেছেন প্রিতম কবি।
কুড়িগ্রাম জেলার একটি মনোরম রিসোর্টে এ গানের চিত্রায়ন হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন মিতালী ও জাহিদসহ অন্যরা। ভিডিও ডিরেক্টশন দিয়েছেন এফকে বাবু। চিত্রগ্রহণে ছিলেন অনিক দাস।
গানটি নিয়ে কণ্ঠশিল্পী মামুন মন্ডল ও আফরোজ জাহান আশা বলেছেন, দর্শক-শ্রোতাদের ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ করতে আমাদের এ আয়োজন। গানটি নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী।
এফকে মিউজিক ভিডিও স্টেশনের কর্ণধার এফকে বাবু বলেন, এখন পর্যন্ত যতগুলো ঈদের গান রিলিজ হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আমাদের এ গানটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছি। মামুন ভাই ও আফরোজ জাহান আশা চমৎকার গেয়েছেন। আশা করছি, গানটি দর্শকদের মনে জায়গা করে নেবে।
ঢাকা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত