দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই আনন্দ। সেই ঈদের আনন্দ আরো বাড়াতে নতুন মিউজিক ভিডিও নিয়ে হাজির হয়েছে এফকে মিউজিক ভিডিও স্টেশন। কবি ও সাংবাদিক রফিক মুয়াজ্জিনের লেখা ‘ঈদ এলো ঈদ’ শিরোনামের এ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন উদীয়মান কণ্ঠশিল্পী মামুন মন্ডল ও আফরোজ জাহান আশা। 

গানটি সুর করেছেন ক্লোজআপ ওয়ান খ্যাত তারকা কণ্ঠশিল্পী সাজু আহমেদ সরকার। সংগীতায়োজন করেছেন প্রিতম কবি।

কুড়িগ্রাম জেলার একটি মনোরম রিসোর্টে এ গানের চিত্রায়ন হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন মিতালী ও জাহিদসহ অন্যরা। ভিডিও ডিরেক্টশন দিয়েছেন এফকে বাবু। চিত্রগ্রহণে ছিলেন অনিক দাস।

গানটি নিয়ে কণ্ঠশিল্পী মামুন মন্ডল ও আফরোজ জাহান আশা বলেছেন, দর্শক-শ্রোতাদের ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ করতে আমাদের এ আয়োজন। গানটি নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী।

এফকে মিউজিক ভিডিও স্টেশনের কর্ণধার এফকে বাবু বলেন, এখন পর্যন্ত যতগুলো ঈদের গান রিলিজ হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আমাদের এ গানটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছি। মামুন ভাই ও আফরোজ জাহান আশা চমৎকার গেয়েছেন। আশা করছি, গানটি দর্শকদের মনে জায়গা করে নেবে।

ঢাকা/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ