রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে উপজেলার বেলপুকুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন নাটোর সদর উপজেলার চাঁদপুর বাজারের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৩) ও একই এলাকার সোলাইমান ইসলামের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৫)। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ট্রেন আসার আগে রেলক্রসিংয়ে ব্যারিকেড ফেলা হয়েছিল। কিন্তু মোটরসাইকেল আরোহী দুজন ব্যারিকেডের নিচ দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ট্রেন এসে মোটরসাইকেলটিকে কিছুদূর নিয়ে যায়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ছিটকে পড়েন। মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেন বেলপুকুর রেলক্রসিংয়ের কাছাকাছি এলে ব্যারিকেড ফেলা হয়। কিন্তু মোটরসাইকেলটি ব্যারিকেডের নিচ দিয়ে ঢুকে পড়ে। তখন ট্রেন চলে এলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হন।

ওসি জিয়াউর রহমান আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ