ইবাদত ও আনুগত্যে অবিচল থাকতে পারা আল্লাহর কাছে কবুল হওয়ার অন্যতম প্রমাণ। আল্লাহ বলেন, ‘মৃত্যু পর্যন্ত তোমার প্রতিপালকের ইবাদত কর। (সুরা হিজর, আয়াত: ৯৯)

রাসুল (সা.) বলেন, ‘বলো বিশ্বাস স্থাপন করেছি আল্লাহর প্রতি এবং অবিচল থাকো।’ (মুসলিম, হাদিস: ৩৮)

আল্লাহর কাছে প্রিয় আমল হচ্ছে যা স্বল্প হলেও স্থায়ী। তাই রাসুলের (সা.

) যাবতীয় আমল ছিল স্থির স্থায়ী। তিনি যখন কোনও আমল শুরু করতেন তখন তা স্থায়ীভাবে পালন করতেন। (বুখারি, হাদিস: ৬,১০১; আবু দাউদ, হাদিস ১,৩৭০; মুসলিম, হাদিস: ৭৪৬)

ইবাদত উপভোগ করুন

টেকসই ইবাদতের শক্তি অর্জনের একটি উপায় হলো, ইবাদতকে উপভোগ্য করে তোলা। মনে এই বিশ্বাস দৃঢ় করা যে, ইবাদতই আমার প্রশান্তি ও আনন্দের প্রধান অনুষঙ্গ। কেননা, মানুষ যা পছন্দ করে, তা তার জন্য উপভোগ্য হয়—বেশি করা কষ্টকর হয় না। রাসুল (সা.) ইবাদত উপভোগ করতেন, ইবাদত তাকে শান্তি দিত। তাই তিনি বেলাল (রা.)-কে বলেছিলেন, ‘বেলাল, নামাজের ব্যবস্থা করো এবং তার মাধ্যমে আমাদের প্রশান্তি দাও।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৪,৯৮৫)

তিনি আরো বলেছেন, ‘আমার নয়নের শীতলতা রাখা হয়েছে নামাজে।’ (নাসায়ি, হাদিস: ৩,৯৩৯)

আরও পড়ুনযে কারণে দোয়া ইউনুস পড়া হয় ০৯ মার্চ ২০২৫

রমজানের প্রাপ্তি

‘ইবাদতের মৌসুম’ ছাড়া অন্য সময়ে আলসেমি ও উদাসীনতার মধ্য দিয়ে আমরা যেভাবে সময় নষ্ট করি গভীরভাবে ভাবলে দেখা যাবে, এ-কারণেই ইবাদতের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ফিকে হয়ে আসে। রমজানে সবচেয়ে বড় পাওনা হচ্ছে, এ-মাস আমাদের এই আত্মবিশ্বাস দান করে যে, আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় রাখতে পারলে, তাঁর তৌফিক পেলে এবং যথার্থ চেষ্টা করলে আমরা আমলে অনেক অগ্রবর্তী হতে পারি। রমজানে আমরা এই যে এত এত আমল করেছি, অর্থ হচ্ছে আমরা ইচ্ছে ও চেষ্টা করলে অন্য সময়েও তা করতে পারি।

এখনো রমজান আছে এবং আছে তার বরকতও, জান্নাতের দরজা খোলা আছে এবং বন্ধ আছে জাহান্নামের দুয়ার, আর শয়তানও আছে শৃঙ্খলাবদ্ধ—তাই, এখন, এই সময়েই, শয়তান মুক্ত হওয়ার পূর্বেই আমাদের সারা বছরের ইবাদতের পরিকল্পনা আঁটতে হবে। যেন মৃত্যু পর্যন্ত ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারি।

আরও পড়ুনইফতারের পর ঘুম পায় কেন০৯ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র আল ল হ রমজ ন উপভ গ

এছাড়াও পড়ুন:

জকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ১২ দাবি

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের কাছে এসব দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

স্মারকলিপিতে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী সংবিধি ও আচরণবিধি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। তারা বিশ্বাস করে, নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়বদ্ধ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ছাত্রদলের ১২ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে; স্বচ্ছ গ্লাসের ব্যালট বাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি বাক্সে আলাদা নম্বর থাকতে হবে; ব্যালট ছাপানোর সংখ্যা, কাস্টিং ভোটার ও নষ্ট ব্যালটের সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে; কোনো মিডিয়া ট্রায়ালের ক্ষেত্রে (ভুল তথ্য প্রচার হলে) সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তবে সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে; পোলিং এজেন্টরা নিজ কেন্দ্রেই অবস্থান করবেন, তবে অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ বা অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন করা যাবে না।

বাকি দাবিগুলো হলো- ডাকসু, চাকসু, রাকসু ও জাকসুর নির্বাচনের সময়সূচি বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের সুবিধা অনুযায়ী যথাযথ সময় রেখে জকসু নির্বাচন নির্ধারণ করতে হবে; আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হলে নির্বাচনী প্রচারণার আচরণবিধি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে, পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের চুক্তি ও অবস্থান বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে; অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমফিল শিক্ষার্থীদেরও জকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে এবং বিধিমালা থেকে তাদের বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।

এছাড়া জকসুর আচরণবিধির ৬ নম্বর ধারার আলোকে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের জন্য বিশেষ কার্ড দিতে হবে, যা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে কার্যকর হবে; রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নির্বাচনী প্রচার ও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান রাখার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন।

নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, যেন একটি গণতান্ত্রিক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, যেখানে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। অন্যথায়, কমিশন কোনো গোষ্ঠীর প্রভাব বা চাপের মুখে পড়ছে বলে শিক্ষার্থীদের মনে হতে পারে।

ছাত্রদলের নেতারা জানান, তারা সন্তোষজনকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি উপস্থাপন করেছে এবং কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ