৮ ঘণ্টায় পদ্মা সেতুতে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকার টোল আদায়
Published: 27th, March 2025 GMT
ঈদকে সামনে রেখে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুতে ৮ ঘণ্টায় ১ কোটি ১৮ লাখ ৫৬ হাজার ৯৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে। এ সময় ১১ হাজার ৪২১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্ত দিয়ে এ টোল আদায় হয়েছে। বিকেল ৪টার দিকে পদ্মা সেতুর সাইড অফিসের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পদ্মা সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টায় সেতুর মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৮ হাজার ১৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে ৭৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার টোল আদায় করা হয়। অন্য দিকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৩ হাজার ৪০৮টি যানবাহন পারাপার হয়। এসব যানবাহন থেকে ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫০ টাকার টোল আদায় হয়।
তিনি আরও জানান, ঈদ ঘিরে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া প্রান্তে যানবাহনের তেমন কোনো চাপ লক্ষ্য করা যায়নি। এ অবস্থায় রাজধানী থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখো যানবাহনগুলো সহসাই নির্বিঘ্নে সেতু পারাপার হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পদ ম স ত
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’