ঈদের দিন আবহাওয়া কেমন থাকতে পারে
Published: 27th, March 2025 GMT
আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ রমজান। যদি এবার ২৯টি রোজা হয়, তবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে ৩১ মার্চ। আর রোজা যদি ৩০টিই হয়, তবে ঈদ হবে ১ এপ্রিল। এখন প্রশ্ন হলো, ঈদের দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে?
চলতি মাসে একদফা তাপপ্রবাহ হয়ে গেছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এরপর গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশ মেঘলা হয়ে পড়ে। রাজধানী ঢাকায় কিছুটা বৃষ্টি হয়। বেশি বৃষ্টি হয় উত্তর-পূর্বের সিলেট এবং এর কাছাকাছি এলাকাগুলোয়। এর পর থেকে তাপমাত্রা খানিকটা কমতে শুরু করে। তবে গত সোমবার থেকে তাপমাত্রা আবার বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল বুধবার দেশের অন্তত সাত জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এই তাপপ্রবাহ আজও অব্যাহত থাকতে পারে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই প্রবণতা আরও দুই দিন থাকতে পারে বলে করছেন আবহাওয়াবিদেরা।
ঈদ ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল—যেদিনই হোক না কেন, এখন যেভাবে তাপমাত্রা বেড়ে চলছে, তা সেই সময়েও অব্যাহত থাকতে পারে, এমনটাই মন্তব্য করেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল তাপমাত্রা এখনকার চেয়ে বেশি থাকতে পারে। তার মানে অবশ্য এই নয় যে ওই সময় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে।
গতকাল থেকে যেভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা আগামী পরশু শনিবার কমে যেতে পারে বলে মনে করেন আরেক আবহাওয়াবিদ মো.
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এলাকাভেদে তাপমাত্রার হেরফের হতে পারে। তবে ঈদের দিন তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কম। এর ব্যতিক্রমও হতে পারে। এই ব্যতিক্রম হওয়ার কারণ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের যেসব অঞ্চল থেকে বায়ুপ্রবাহ বাংলাদেশে প্রবেশ করে, সেখানকার তপ্ত হাওয়া। এর হেরফেরে তাপমাত্রা এখন যে ধারণা করা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি হতে পারে।
কোনো এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেখানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে গণ্য করা হয়। তবে এই তাপমাত্রা অন্তত দুই দিন একনাগাড়ে থাকতে হয়, তাহলেই তাপপ্রবাহ বলা হয়।
ঈদের দিন (৩১ মার্চ অথবা ১ এপ্রিল) দেশের দক্ষিণ-পূর্বের চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক স্থানে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সেন্ট মার্টিন ও কক্সবাজারের কিছু স্থানে এই বৃষ্টি হতে পারে। তবে এর পরিমাণ খুব সামান্য হবে বলে মন্তব্য করেন আবুল কালাম মল্লিক। তিনি বলেন, বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব কম। এখন সামান্য বৃষ্টি দেখাচ্ছে। তবে সব মিলিয়ে দেশের আকাশ পরিষ্কার থাকবে। তাপমাত্রাও খুব অসহনীয় হয়ে উঠবে বলে মনে হয় না।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রব হ ব ৩১ ম র চ ঈদ র দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি