মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্টে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেবেন লিভারপুলের ইংলিশ ফুলব্যাক ট্রেন্ট অ্যালেক্সজান্ডার আর্নল্ড। সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, চুক্তির বিষয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ও আর্নল্ড সমঝোতায় পৌঁছেছেন। 

শুধু চুক্তি নয় জুনেই অগ্রিম ছাড়পত্রের মাধ্যমে আর্নল্ডকে রিয়াল মাদ্রিদে আনা যায় কিনা ওই চেষ্টাও করছে লস ব্লাঙ্কোস বোর্ড। 

লিভারপুলের সঙ্গে চলতি মৌসুমের ৩০ জুন পর্যন্ত চুক্তি আছে আর্নল্ডের। চুক্তি নবায়ন না করলে নিয়ম অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে নতুন ক্লাবের সদস্য হবেন ইংলিশ এই ডিফেন্ডার। তবে জুনে ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেবে রিয়াল মাদ্রিদ। ওই টুর্নামেন্টের আগে  ব্লাঙ্কোস বোর্ড তাকে দলে চায়। 

লিভারপুল যাতে প্রিমিয়ার লিগ মৌসুম শেষ হলেই আর্নল্ডকে ছাড়পত্র দেয় ওই চেষ্টা করবে রিয়াল মাদ্রিদ। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ড রক স্টেডিয়ামে ১৮ জুন আল হিলালের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে কার্লো আনচেলত্তির দল। 

ক্লাব বিশ্বকাপের কারণে দলবদলের জন্য সংক্ষিপ্ত একটি সময় বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। ক্লাবগুলো ১ থেকে ১০ জুনের মধ্যে দলে নতুন ফুটবলার সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সম্মত হতে হবে দুই ক্লাবের। রিয়াল মাদ্রিদ আর্নল্ডকে ওই সুযোগে দলে আগেভাগে যুক্ত করতে চায়।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ