ক্রসিংয়ের বার ভেঙে রেললাইনে তরমুজবাহী ট্রাক, ধাক্কা লেগে ট্রেনের চালকসহ আহত ৪
Published: 27th, March 2025 GMT
জামালপুর সদর উপজেলার একটি ক্রসিংয়ের বার ভেঙে রেললাইনের ওপর ট্রাক ঢুকে পড়ে ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ট্রেনের চালকসহ চারজন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার উপজেলার নান্দিনা এলাকার কালিন রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ট্রেনটির চালক কামাল হোসেন, তাঁর সহকারী ইদ্রিস আলী, গেটম্যান কহিনুর ইসলাম এবং ট্রাকের চালক। তাৎক্ষণিকভাবে ট্রাকচালকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনটি আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার নান্দিনা এলাকার কালিন রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। এ সময় যানবাহনের চলাচল ঠেকাতে বার ফেলেন গেটম্যান। কিন্তু ট্রেনটি আসার সময় বার ভেঙে রেললাইনের ওপর উঠে যায় তরমুজবোঝাই ট্রাকটি। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাকটি দুমড়েমুচড়ে গেছে। এ সময় ওই চারজন আহত হন। এতে ট্রাকের সব তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে।
এ দুর্ঘটনার পর আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ১ ঘণ্টা ময়মনসিংহ-জামালপুর রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ট্রাকটি রেললাইন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। দুর্ঘটনায় ট্রেনটির ইঞ্জিনের ক্ষতি হয়েছে।
নান্দিনা রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার নাদির হোসেন বলেন, দুর্ঘটনায় ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হলেও কোনোরকমে ট্রেনটি ঘটনাস্থল থেকে ধীরে ধীরে নান্দিনা রেলস্টেশন পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। ট্রেনের ইঞ্জিনটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিকল্প ইঞ্জিন আনা হয়। পরে ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’