Samakal:
2025-11-03@21:22:23 GMT

বাড়তি ফি ছাড়াই ঈদের টিকিট

Published: 27th, March 2025 GMT

বাড়তি ফি ছাড়াই ঈদের টিকিট

ঈদ মানেই আপন নীড়ে ফিরে যাওয়ার টান। ঈদুল ফিতর উদযাপনে দেশের সুপরিচিত অনলাইন টিকিটিং প্ল্যাটফর্ম বিডিটিকিটস ডটকম বাস পরিষেবার বিশেষ অফার ঘোষণা করেছে।

যাত্রীদের ভোগান্তিহীন ঈদযাত্রা নিশ্চিতে বাড়তি চার্জ ছাড়াই ২০ লাখের বেশি টিকিট বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি। ফলে বাড়ি ফেরার টিকিট পেতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো, টিকিটের সংকট বা কালোবাজারির মুখোমুখি হতে হবে না।

উদ্যোক্তারা বলেন, ঈদে ঘরমুখী মানুষের জন্য বাসের টিকিট পাওয়া যেন সোনার হরিণ। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ থাকে কম। এমন সুযোগে কালোবাজারিতে বাড়তি দামে টিকিট বিক্রি হয়। এ টিকিট পেতে তীব্র গরমে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ভোগান্তি নিরসনে এমন সমস্যার সমাধানে ই-টিকিটিং প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করা হয়েছে দেশের ৯৯ শতাংশ দূরপাল্লার বাস সার্ভিস। ফলে দেশের যে কোনো প্রান্তের যাত্রায় টিকিট করা হয়েছে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।

বিডিটিকিটস প্ল্যাটফর্মের মূল অংশীজন প্রতিষ্ঠান আর ভেঞ্চারস পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী মাহবুব হাসান বলেন, বাড়ি ফেরার টিকিট কেনার সঙ্গে আমাদের প্ল্যাটফর্মে এখন যাত্রীরা রিটার্ন টিকিটের সুবিধা পাবেন। বাড়তি চার্জহীন ও বিশেষ ছাড়ে টিকিটের সুবিধা দেওয়া হবে। অনেকেই অগ্রিম রিটার্ন টিকিট বুক করছেন, যা যাত্রীসেবায় স্বস্তি দেবে। ঈদে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা নিশ্চিতে এখন দিনরাত কাজ করছি।

ঈদের বিশেষ ছাড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-খুলনা রুটের বাসের টিকিট বাড়তি চার্জ ছাড়া নির্ধারিত ভাড়ায় পাওয়া যাচ্ছে। সারাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে ঝামেলাহীন আর ঘরে বসেই মিলছে টিকিট কাটার সুযোগ। দিন হোক বা রাত অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কয়েক মিনিটেই পাওয়া যাচ্ছে বাড়ি ফেরার টিকিট। পরিষেবা পেতে আগ্রহীরা বিডিটিকিটস অ্যাপে বা সাইটে গিয়ে তথ্য সুবিধা পাবেন। তাৎক্ষণিক সহায়তার প্রয়োজনে ১৬৪৬০ নম্বরে কল করা যাবে।

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ